—ফাইল চিত্র।
ছিল মলিন প্রেক্ষাগৃহ। সংস্কারের পরে ঝাঁ চকচকে অডিটোরিয়াম। সাদামাটা পুরভবনের রূপবদল হয়েছে। সৌন্দর্যায়নের এই যুগলবন্দিতে অস্থায়ী অগ্নিনির্বাপণ কেন্দ্রের বাইরে সাফল্যের খতিয়ান দিতে নীল-সাদা রঙের লোহার কাঠামোর ব্যবস্থা করল দমদম পুরসভা।
দমদম পুরসভা চত্বরে অবস্থিত সভাগৃহটি এক সময়ে সিনেমাহল ছিল। সিনেমা প্রদর্শন বন্ধ হওয়ার পরে বেহাল দশা হয় সভাগৃহের। মাস আটেক আগে সেটিকে অত্যাধুনিক অডিটোরিয়ামের রূপ দেওয়ার কাজ শুরু করেন পুর কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে পুরভবনের ভোল বদলেছে। পুর কার্যালয়ের সামনে ফোয়ারার পাশাপাশি বসেছে পেভার ব্লক। আজ, রবিবার অডিটোরিয়াম, সুইমিং পুল এবং নতুন ভাবে সেজে ওঠা পুর ভবনের উদ্বোধন হবে।
তবে সৌন্দর্যায়নের পর্দায় ঢাকা পড়তে চলেছে পুরসভা চত্বরের অস্থায়ী অগ্নিনির্বাপণ কেন্দ্র। এ দিন ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায়, অ্যাসবেস্টসের ছাউনি দিয়ে তৈরি অস্থায়ী অগ্নিনির্বাপণ কেন্দ্রের বাইরে যে আবর্জনার স্তূপ ছিল, তা সরিয়ে সুদৃশ্য লোহার কাঠামো তৈরির কাজ চলছে। নতুন সাজ হাসি ফোটাতে পারেনি দমকলকর্মীদের। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘অস্থায়ী ছাউনির বেহাল দশা ঢাকতে এই ব্যবস্থা। যেটুকু আলো-বাতাস ঢুকত, তা-ও বন্ধ হল।’’ পুরপ্রধান হরীন্দ্র সিংহ বলেন, ‘‘ওখানে আবর্জনা জমছিল। তাই আবর্জনা সব পরিষ্কার করে ওখানে রাজ্য সরকারের বিভিন্ন প্রকল্পের পাশাপাশি পুরসভার ভাল কাজগুলি তুলে ধরতে একটি কাঠামো তৈরি করা হয়েছে।’’
পুরপ্রধান জানান, অডিটোরিয়াম, পুরভবনের সংস্কার এবং সুইমিং পুল মিলিয়ে মোট সাত কোটি টাকা খরচ হয়েছে। তার মধ্যে পুরনো আমলের টাউন হল সংস্কারেই খরচ হয়েছে
সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা। নতুন অডিটোরিয়াম আধুনিক পরিকাঠামোয় সাজানো হয়েছে। তবে ভাড়া এখনও চূড়ান্ত হয়নি। পুরসভা সূত্রের খবর, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত ৬০০ আসনের প্রেক্ষাগৃহে আলো ও শব্দের জন্য পৃথক কন্ট্রোল রুম রয়েছে। এক পুর কর্তার কথায়, ‘‘এই মঞ্চে প্রোজেক্টরের সাহায্যে চলচ্চিত্র উৎসবও করা যেতে পারে।