পুলিশ নিজের সিদ্ধান্তেই অটল থাকল, পিছু হঠলেন অটোচালকেরাই।
টানা দু’দিন সল্টলেকে একাধিক রুটে অটো বন্ধ থাকার পরে সোমবারও দুপুর পর্যন্ত একই অবস্থা ছিল। শেষে পুলিশের সঙ্গে বৈঠকের পরে অটোচালকেরা সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন। দুপুর আড়াইটের পর থেকে চালু হয় অটো পরিষেবা।
দলীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল নেতৃত্ব চালকদের পাশে দাঁড়াননি। পুলিশের শর্ত মেনে দ্রুত অটো চালুর নির্দেশ দেন তাঁরা। তবে শ্রমিক সংগঠনের এক নেতার কথায়, ‘‘বিধায়কের অনুরোধ মেনে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হল।’’ এ প্রসঙ্গে বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসু বলেন, ‘‘আলোচনা নিশ্চয়ই হবে। কিন্তু মানুষের সমস্যা করে অটো বন্ধ রাখা কাম্য নয়। প্রশাসনের সিদ্ধান্ত মানতে হবে।’’
তৃণমূলের এক শ্রমিক সংগঠনের নেতার কথায়, ‘‘পুলিশের দেখানো জায়গায় গাড়ি রাখা হবে। তবে দু’দিন দেখার পরে যদি যাত্রী না পাওয়া যায়, ফের পুলিশের সঙ্গে আলোচনায় বসব।’’
সকাল থেকে অটো বন্ধ থাকায় এ দিনও ভোগান্তির মুখে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। তাঁদের অভিযোগ, পর্যাপ্ত পরিমাণে বাস না থাকায় অটোই ভরসা। সেখানে টানা দু’দিন অটো বন্ধ। যাত্রীদের সমস্যা কিছুটা লাঘব করতে এ দিন পুলিশের গাড়ি মজুত ছিল। সেই গাড়িতেই করুণাময়ী থেকে পাঁচ নম্বর সেক্টরে পৌঁছেছেন অনেকে।
আগামী দু’দিন যাত্রী কেমন হয়, তার উপরে তাঁদের পরবর্তী সিদ্ধান্ত নির্ভর করবে বলে জানিয়েছেন অটোচালকেরা। এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মোড় খোলা রাখতেই হবে। আশা করি, চালকেরা বুঝবেন। তবে প্রশাসনের সিদ্ধান্তই বজায় থাকবে।’’