প্রশাসন অনড়, বিধাননগরে পিছু হঠলেন অটোচালকেরা

পুলিশ নিজের সিদ্ধান্তেই অটল থাকল, পিছু হঠতে বাধ্য হলেন অটোচালকেরা। টানা দু’দিন সল্টলেকে একাধিক রুটে অটো বন্ধ রাখার পরে সোমবার দুপুর পর্যন্ত একই অবস্থা ছিল। পরে নিজেদের মধ্যে বৈঠকের পর অটোচালকেরা সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন। দুপুর আড়াইটের পর থেকে চালু হয় অটো।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৫ ১৭:১৯
Share:

পুলিশ নিজের সিদ্ধান্তেই অটল থাকল, পিছু হঠতে বাধ্য হলেন অটোচালকেরা।

Advertisement

টানা দু’দিন সল্টলেকে একাধিক রুটে অটো বন্ধ রাখার পরে সোমবার দুপুর পর্যন্ত একই অবস্থা ছিল। পরে নিজেদের মধ্যে বৈঠকের পর অটোচালকেরা সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করেন। দুপুর আড়াইটের পর থেকে চালু হয় অটো।

যদিও দলীয় সূত্রে খবর, তৃণমূল নেতৃত্ব চালকদের এই অবস্থানের পাশে দাঁড়াননি। পুলিশের শর্ত মেনে দ্রুত অটো চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন তাঁরা। তবে দলীয় কোনও নির্দেশের কথা স্বীকার না করলেও শ্রমিক সংগঠনের এক নেতার কথায়, ‘‘বিধায়কের অনুরোধ মেনে সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার করা হল।’’

Advertisement

তবে চালকেরা অটো বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত থেকে পুরোপুরি পিছু হঠেননি। তৃণমূলের এক শ্রমিক সংগঠনের নেতা বলেন, ‘‘পুলিশের দেখানো জায়গাতে গাড়ি রাখা হবে। তার জন্য তিন দিন যদি পর্যাপ্ত সংখ্যায় যাত্রী না হয়, তবে ফের অটো বন্ধের পথে যেতে বাধ্য হব।’’

রবিবারের পরে এ দিনও সকাল থেকে ফের দফায় দফায় ভোগান্তির মুখে পড়েন নিত্যযাত্রীরা। এ দিনও সকাল থেকে অটো বন্ধ থাকায় সল্টলেকের অফিসপাড়া থেকে শুরু করে পাঁচ নম্বর সেক্টরে কর্মসূত্রে যাওয়া যাত্রীরা সমস্যায় পড়েন। তাঁদের অভিযোগ, পর্যাপ্ত পরিমাণে বাস থাকে না। অটোই ভরসা। সেখানে দু’দিন ধরে টানা অটো বন্ধ। প্রশাসন কী ভাবে নীরব থাকে সেটাই বোঝা দায়।

যাত্রীদের সমস্যা কিছুটা লাঘব করতে পুলিশ এ দিন রীতিমতো নিজেদের গাড়ি মজুত রেখেছিল। সেই গাড়িতেই যাত্রীদের করুণাময়ী থেকে পাঁচ নম্বর সেক্টরে পৌঁছে দিয়েছে তারা।

তিন দিন যাত্রী কেমন হয়, তার উপরে অটোচালকদের পরবর্তী সিদ্ধান্ত বোঝা যাবে। এমন কথা শুনে পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘যানবাহন নিয়ন্ত্রণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ মোড় উন্মুক্ত রাখতেই হবে। আশা করি, চালকেরা সমস্যার কথা বুঝবেন। তবে যে সিদ্ধান্ত প্রশাসন নিয়েছে, তাই বজায় থাকবে।’’

এই প্রসঙ্গে রাজারহাট-নিউটাউনের বিধায়ক সব্যসাচী দত্ত অবশ্য কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে সল্টলেকে শাসক দলের এক নেতা বলেন, ‘‘চালকদের দাবি থাকতেই পারে। সেটা আলোচনার মাধ্যমেই সমাধান করতে হবে।’’ এ প্রসঙ্গে বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসু বলেন, “আলোচনা নিশ্চয়ই হবে। কিন্তু, তা বলে মানুষের সমস্যা করে অটো বন্ধ করা কাম্য নয়। প্রাশসনের সিদ্ধান্ত মানতে হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন