দক্ষিণ দমদম পুরসভার খাদ্য অভিযানেও মিলেছে ক্ষতিকারক ব্যাক্টিরিয়ার সন্ধান। মঙ্গলবার এমনই দাবি করলেন একাধিক পুরকর্তা। আজ, বুধবার, সেই রিপোর্ট প্রকাশ করতে পারেন পুর কর্তৃপক্ষ।
গত ১১ মে নাগেরবাজার সংলগ্ন শপিং মলের ফুড কোর্ট ও রাস্তার ধারের একাধিক স্টলে অভিযান চালিয়েছিল পুরসভা। শপিং মলের ফুড কোর্টে একাধিক রান্নাঘর দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করেছিলেন পুরপ্রধান, জনস্বাস্থ্য বিভাগের চেয়ারম্যান পারিষদ দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় এবং স্বাস্থ্য বিভাগের চেয়ারম্যান পারিষদ গোপা পাণ্ডে-সহ পুর প্রতিনিধিরা। মলের একটি রেস্তরাঁর খাবারের মান নিয়েও সন্দিহান ছিলেন তাঁরা। পুরসভা সূত্রে খবর, নাগেরবাজার চত্বরে যে ক’টি জায়গা থেকে নমুনা সংগ্রহ করে কনভেন্ট রোডের সরকারি পরীক্ষাগারে পাঠানো হয়েছিল, তার মধ্যে বেশ কিছু নমুনায় ক্ষতিকারক জীবাণু মিলেছে। এক পুরকর্তার কথায়, ‘‘রিপোর্টে এমন অনেক নমুনা রয়েছে, যার পাশে লেখা রয়েছে ‘আনসেফ’। শপিং মলের ফুড কোর্টও তার মধ্যে থাকলে অবাক হওয়ার কিছু নেই।’’ সংগৃহীত নমুনায় ই-কোলাই, কলিফর্মের মতো ব্যাক্টিরিয়া অতিরিক্ত মাত্রায় মিলেছে বলে সূত্রের খবর।
সোমবার বিধাননগর পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় তাঁদের অভিযানের রিপোর্ট প্রকাশ করেন। এর পরে রিপোর্ট আনানোর জন্য দক্ষিণ দমদম পুরসভার অন্দরেও তৎপরতা শুরু হয়ে যায়। এ দিন দুপুরে পুরসভার দু’জন কর্তা রিপোর্ট আনার জন্য রওনা হন। বিকেলে ফেরা মাত্র অভিযানের ফলাফল সম্পর্কে জানতে চান এক পুরকর্তা। পুরসভা সূত্রের খবর, তাঁদের ওই দুই কর্তার মধ্যে এক জন বলেন, ‘রিপোর্ট ভাল নয়’! বস্তুত, এ দিন কনভেন্ট রোডে ওয়েস্ট বেঙ্গল পাবলিক হেল্থ ল্যাবরেটরির দফতরে যান দমদম পুরসভার প্রতিনিধিরাও। রিপোর্টে কী আছে, তা নিয়ে কিছু বলতে চাননি দমদমের পুরপ্রধান হরীন্দ্র সিংহ।
এ দিন দক্ষিণ দমদমের চেয়ারম্যান পারিষদ (জনস্বাস্থ্য) দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘রিপোর্ট এসেছে। নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে তা প্রকাশ্যে আনা হবে।’’