আগুন মোকাবিলায় বাগড়ির ছাদে ৭০ হাজার লিটারের জলাধার

তবে এক লক্ষ লিটার জলধারণ ক্ষমতার একটি নয়, একাধিক জলাধার তৈরি হচ্ছে বাগড়ি মার্কেটের ছাদে। তার মধ্যে ১৪টি তৈরি হয়ে গিয়েছে। বাগড়ি মার্কেট সেন্ট্রাল কলকাতা ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আশুতোষ সিংহ বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে ১৪টি ট্যাঙ্ক বসে গিয়েছে ছাদে। আরও কয়েকটি ট্যাঙ্ক লাগানো হবে।’’ 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৯ ০২:৩৯
Share:

বাগড়ির ছাদে জলাধার। ভবনের করিডরে অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা। ফাইল চিত্র।

গত বছর ১৬ সেপ্টেম্বর বাগড়ি মার্কেটে বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডের পরে বন্ধ রয়েছে দোকানগুলি। জীবিকাহীন বহু পরিবার। এরই মধ্যে ধীরে ধীরে ঢেলে সাজা হচ্ছে বাজারের অগ্নি নির্বাপণের পরিকাঠামো। ঘিঞ্জি বাজার এলাকায় স্থানাভাবে ভবনের ছাদেই তৈরি হচ্ছে এক লক্ষ লিটারের জলাধার। আধুনিক অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থাও হচ্ছে বাজারের প্রায় প্রতিটি দোকানে এমনটাই জানাচ্ছে বাগড়ি মার্কেট অ্যাসোসিয়েশন।

Advertisement

তবে এক লক্ষ লিটার জলধারণ ক্ষমতার একটি নয়, একাধিক জলাধার তৈরি হচ্ছে বাগড়ি মার্কেটের ছাদে। তার মধ্যে ১৪টি তৈরি হয়ে গিয়েছে। বাগড়ি মার্কেট সেন্ট্রাল কলকাতা ট্রেডার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট আশুতোষ সিংহ বলেন, ‘‘ইতিমধ্যে ১৪টি ট্যাঙ্ক বসে গিয়েছে ছাদে। আরও কয়েকটি ট্যাঙ্ক লাগানো হবে।’’

ছাদে গিয়ে দেখা গেল, কার্যত বদলে গিয়েছে গত সেপ্টেম্বরে দেখা সেই ছাদ। পরপর বসানো রয়েছে পাঁচ হাজার লিটার ধারণ ক্ষমতার ১৪টি জলাধার। সেগুলির সঙ্গে পাইপ লাগানোর কাজও প্রায় শেষ। ব্যবসায়ীরা জানাচ্ছেন, বিশাল জলাধারের ভার যদি এই ছাদ নিতে না পারে, তা ভেবেই ছোট ছোট জলাধারের পরিকল্পনা।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

শুধু জলাধার তৈরিই নয়, বাগড়ির প্রতিটি তলেই অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা ঢেলে সাজানো হয়েছে বলে জানালেন বাগড়ির ব্যবসায়ীরা। প্রতিটি দোকানে লাগানো হয়েছে স্মোক ডিটেক্টর ও স্প্রিঙ্কলার। বাগড়ির বি ব্লকে উপহারের দোকান রয়েছে মিথিলেশ ওঝার। আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল তাঁর দোকান। ফের দোকান সাজিয়ে তুলেছেন তিনি। তিনি বলেন, ‘‘আগে শুধু করিডরে ছিল স্মোক ডিটেক্টর ও স্প্রিঙ্কলার। এ বার প্রতিটি দোকানে স্প্রিঙ্কলার ও স্মোক ডিটেক্টর লাগানো হয়ে গিয়েছে। তাপ নির্দিষ্ট মাত্রা ছাড়ালেই স্প্রিঙ্কলার থেকে জল বেরোতে শুরু করবে।

তবে বাগড়ি মার্কেট অ্যাসোসিয়েশন ব্যবসায়ীদের নির্দেশ দিয়েছে কোনও তলেই ডালা নিয়ে ব্যবসা করা যাবে না। আশুতোষবাবু বলেন, ‘‘বাগড়ির প্রতিটি ব্লকে ঢোকার রাস্তা দমকলের ছোট গাড়ি ঢোকার মতো প্রশস্ত করা হচ্ছে।’’ তিনি জানান, দমকল ও পুরসভার অনুমতি পেয়ে গেলে চলতি মাসেই অধিকাংশ দোকান চালু হয়ে যাবে।’’ দমকলের এক কর্তা বলেন, “বাগড়ি মার্কেটে চূড়ান্ত পরিদর্শন বাকি আছে। তার পরে সব দিয়ে খতিয়ে দেখে অনুমোদন দেওয়া হবে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন