অবশেষে প্রায় ৮৫ বছরের রোগ জর্জরিত বৃদ্ধের অস্ত্রোপচারের সিদ্ধান্ত নিলেন চিকিৎসকেরা। আর তার জন্য সময় লাগবে তিন মাস!
শরীর জুড়ে বার্ধক্যের ছাপ স্পষ্ট ‘বালি ব্রিজ’-এর। আগামী সপ্তাহের মাঝামাঝি থেকেই রেলের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে সেতুটির সংস্কারের কাজ শুরু করবে রাজ্য পূর্ত দফতর। আর সে জন্যই তিন মাস সেতুর উপরে বালি থেকে দক্ষিণেশ্বরের দিকে যাওয়ার রাস্তা বন্ধ রাখা হবে বলেই প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। কিন্তু দক্ষিণেশ্বর থেকে বালি আসার রাস্তাটি খোলা থাকছে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, দীর্ঘ দিন ধরেই বালি ব্রিজের দক্ষিণেশ্বরমুখী রাস্তার বেশ কয়েকটি জায়গায় ফাটল দেখা দিচ্ছিল। সেই ফাটল বেড়ে গিয়ে গর্ত তৈরি হচ্ছিল সেতুতে। প্রতিনিয়ত বিপজ্জনক ভাবে ওই রাস্তা দিয়ে চলাচল করছিল অসংখ্য যান। বারবার ফাটল কেন হচ্ছে তার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারেরা দেখেন, ব্রিজের ৮৮০ মিটার লম্বা ও চওড়ায় সাড়ে ৭ মিটার (ফুটপাথ ২ মিটার) রাস্তাটির কংক্রিটের আস্তরণের নীচে রয়েছে ১১টি এক্সপ্যানশন জয়েন্ট। তার নীচেই টার্ফ প্লেট। পূর্ত দফতর সূত্রে খবর, ৭টি এক্সপ্যানশন জয়েন্টের অবস্থা বেহাল। টার্ফ প্লেটগুলিও পুরনো হয়ে গিয়েছে। সিদ্ধান্ত হয় রেল টার্ফ প্লেট পরিবর্তন করলে পূর্ত দফতর এক্সপ্যানশন জয়েন্ট বদলের সঙ্গে বাকি কাজ করবে। তার পরে ম্যাস্টিক অ্যাসফল্ট করা হবে। কিন্তু চলতি বছরের প্রথম দিকে এই সিদ্ধান্ত হলেও বালির দিক থেকে আসা যানবাহন কোন দিকে ঘোরানো হবে ও কোন দিক দিয়ে সেগুলি দক্ষিণেশ্বরের দিকে আসবে তা নিয়ে পুলিশের তরফে সবুজ সঙ্কেত না মেলায় কাজ থমকে ছিল।
নবান্ন সূত্রে খবর, ট্রাফিক বিভাগের শীর্ষকর্তারা ও হাওড়া সিটি পুলিশ, ব্যারাকপুর কমিশনারেট, হুগলি জেলা পুলিশের কর্তারা-সহ পূর্ত দফতরের কর্তারা বৃহস্পতিবার বালি ব্রিজের বেহাল অংশ পরিদর্শন করেন। সিদ্ধান্ত হয়, ডানকুনি, হাওড়া, হুগলির দিক থেকে আসা বাস বালি হল্টের কাছ থেকে নিবেদিতা সেতুতে তুলে দেওয়া হবে। এর জন্য বালি হল্ট বাস স্টপের কাছে দু’নম্বর জাতীয় সড়ক ও নিবেদিতা সেতুর মধ্যে একটি ছোট সংযোগকারী রাস্তা তৈরি হচ্ছে। তবে লরি ও অন্য চার চাকার গাড়িকে রাজচন্দ্রপুর টোল প্লাজা পার হয়ে নিবেদিতা সেতুতে উঠতে হবে। অন্য দিকে বালি ব্রিজের অন্য রাস্তাটিতে যেমন ভাবে দক্ষিণেশ্বর থেকে বালির দিকে গাড়ি আসত তেমনই চলবে। তবে ওই রাস্তাটি দিয়ে একমাত্র মোটরবাইক বালির দিক থেকে দক্ষিণেশ্বরের দিকে যেতে পারবে।
পূর্ত দফতরের এক কর্তা বলেন, ‘‘যানবাহন কোন দিক দিয়ে ঘোরানো হবে সে সম্পর্কে পুলিশের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি হলেই কাজ শুরু হবে।’’ যাতায়াত করবে।’’