বরাহনগরে ব্যবসায়ী খুনে যুবক গ্রেফতার

মাত্র দেড় ঘণ্টা। তার মধ্যে একই নম্বর থেকে কুড়ি বার ফোন গিয়েছিল। এর পরেই দুষ্কৃতীদের দু’রাউন্ড গুলিতে মাথা ফুঁড়ে গিয়েছিল ছাঁট লোহার কারবারি কার্তিক প্রসাদের। বরাহনগরের বাসিন্দা ওই ব্যবসায়ীর খুনের তদন্তে নেমে সেই কললিস্টই ধরিয়ে দিল এক ষড়যন্ত্রকারীকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ জুন ২০১৬ ০৮:১৭
Share:

মাত্র দেড় ঘণ্টা। তার মধ্যে একই নম্বর থেকে কুড়ি বার ফোন গিয়েছিল। এর পরেই দুষ্কৃতীদের দু’রাউন্ড গুলিতে মাথা ফুঁড়ে গিয়েছিল ছাঁট লোহার কারবারি কার্তিক প্রসাদের। বরাহনগরের বাসিন্দা ওই ব্যবসায়ীর খুনের তদন্তে নেমে সেই কললিস্টই ধরিয়ে দিল এক ষড়যন্ত্রকারীকে।

Advertisement

শনিবার রাতে কাশীপুর থেকে মহম্মদ রেজ্জাক ওরফে সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে বরাহনগর থানার পুলিশ। ওই যুবক কার্তিক প্রসাদের পূর্ব পরিচিত। গত ৬ জুন সন্ধ্যায় মহারাজা নন্দ কুমার রোডের দানী পাড়ার একটি গলি দিয়ে রিকশা করে ফেরার সময়ে গুলি করে খুন করা হয়েছিল কার্তিক ওরফে বুচিয়াকে। খুনের মাত্র পাঁচ দিন আগে বরাহনগরে বাড়ি ভাড়া নিয়েছিলেন ওই ব্যবসায়ী। পুলিশ জানতে পারে, আদতে কাশীপুরের দাঁতুনিয়া পাড়ার বাসিন্দা ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে ছাঁট লোহার কারবার নিয়ে আর এক পক্ষের বিবাদ চলছিল। কাশীপুর গান অ্যান্ড শেল ফ্যাক্টারি থেকে ছাঁট লোহা কেনাবেচা করতেন কার্তিক। সেখানে নিজের আধিপত্য কায়েম রাখতে ও কারখানার ঠিকাদারদের থেকে তোলার ভাগ নিয়ে তাঁর সঙ্গে বিবাদ হয় অন্য পক্ষের।

তদন্তে নেমে পুলিশ কার্তিকের ফোনের কললিস্ট ঘেঁটে দেখে। সেখানেই দেখা যায়, একটি নম্বর থেকে সন্ধ্যা ৬টা থেকে সাড়ে ৭টা পর্যন্ত টানা কুড়ি বার ফোন করা হয়েছে তাঁকে। আর সাড়ে ৭টা নাগাদই খুন হন কার্তিক। জানা যায়, ওই নম্বরটি ছিল মহম্মদ রেজ্জাকের। পুলিশ জানায়, রেজ্জাককে জেরা করে জানা গিয়েছে, সে খুনের দিন বিকেল থেকে কার্তিককে অনুসরণ করছিল। কখনও মোটরবাইক নিয়ে, কখনও ফোনে জানছিল কোথায় তিনি। তার দেওয়া সূত্র মোতাবেকই দুষ্কৃতীরা দানী পাড়ার গলিতে ঢুকে গুলি চালায় কার্তিকের উপরে। তবে খুনিরা পেশাদার নয় বলে দাবি পুলিশের। আর এই ঘটনার পিছনে মূল এক জন চক্রান্তকারী আছে। এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘ওই ব্যক্তির সঙ্গেই কার্তিকের বিবাদ চলছিল। তার নাম জানতে পেরেছি। খোঁজ চলছে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন