Jessore Road

Barasat Police: যান নিয়ন্ত্রণে বিশেষ বাহিনী, অবৈধ পার্কিং বন্ধে জরিমানা

বারাসত ও মধ্যমগ্রামে যানজটের সমস্যা নতুন নয়। এক বার  যানজট হলে তার রেশ এসে পড়ে যশোর রোডের বিস্তীর্ণ অংশে।

Advertisement

প্রবাল গঙ্গোপাধ্যায়

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ অক্টোবর ২০২১ ০৬:৩৫
Share:

ফাইল চিত্র।

বারাসত ও মধ্যমগ্রাম। গায়ে গায়ে লেগে থাকা এই দুই শহর-এলাকা যশোর রোড তথা কলকাতা থেকে উত্তর ২৪ পরগনায় যাতায়াতের অন্যতম প্রবেশপথ। কিন্তু দুই এলাকারই অন্যতম প্রধান সমস্যা রোজকার যানজট। সমস্যার মূলে রয়েছে রাস্তার যেখানে-সেখানে পার্কিং, টোটোর দৌরাত্ম্য-সহ একাধিক বিষয়। বেহাল ট্র্যাফিক ব্যবস্থাকে সুশৃঙ্খল করতে পুজোর আগেই তাই বেশ কিছু পদক্ষেপ করছে বারাসত পুলিশ জেলা।

Advertisement

পুলিশ সূত্রের খবর, প্রথমত যে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে তা হল, বারাসত ও মধ্যমগ্রামের জন্য দু’টি পৃথক কুইক রেসপন্স টিম (কিউআরটি) তৈরি করা হচ্ছে। প্রত্যেক দলে ১০ জন করে সদস্য থাকবেন। যাঁদের কাজ হবে,
রাস্তার দু’টি মোড়ের মাঝে তৈরি হওয়া যানজট মুক্ত করা। দ্বিতীয়ত, পুজোর আগেই রাস্তার দু’ধারে বেআইনি পার্কিং বন্ধ করা হবে বলে জানাচ্ছেন পুলিশকর্তারা। তাঁদের বক্তব্য, অবৈধ পার্কিংয়ের কারণে একমুখী রাস্তা অনেক জায়গাতেই সঙ্কীর্ণ হয়ে পড়ে। এর জেরে গাড়ি চলাচলের পরিসর কমে যায়।

বারাসত পুলিশ জেলার সুপার রাজনারায়ণ মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সাধারণত ট্র্যাফিক পুলিশের কর্মীরা বিভিন্ন রাস্তার মোড়ে ডিউটি করেন। সে কারণে রাস্তার মাঝে যানজট তৈরি হলে তাঁদের পক্ষে সেখানে যাওয়া সম্ভব হয় না। ওই সময়ে কুইক রেসপন্স টিমের সদস্যেরা রাস্তার মাঝের যানজট ছাড়িয়ে গাড়ি চলাচল মসৃণ রাখতে সহায়তা করবেন।’’

Advertisement

বারাসত ও মধ্যমগ্রামে যানজটের সমস্যা নতুন নয়। এক বার যানজট হলে তার রেশ এসে পড়ে যশোর রোডের বিস্তীর্ণ অংশে। এই সমস্যার সমাধানসূত্র খুঁজতে পূর্ত দফতর ও পুলিশের মধ্যে একাধিক বার আলোচনাও
হয়েছে।

বারাসত পুলিশ জেলার কর্তারা জানাচ্ছেন, যানজটের অন্যতম কারণ ওই দুই এলাকার রাস্তার বহর। অধিকাংশ রাস্তাতেই যাতায়াতের গাড়ির আলাদা লেন ভাগ করা নেই। ফলে বহু ক্ষেত্রে ওভারটেক করতে গিয়ে দু’দিকের গাড়ি মুখোমুখি দাঁড়িয়ে যাওয়ায় দেখা দেয় যানজট। পুলিশের তরফে একটি সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, বারাসত ও মধ্যমগ্রাম এলাকা দিয়ে রোজ ২৬ হাজার গাড়ি চলাচল করে। বিপুল সংখ্যক এই
যানবাহনের চলাচল বাধাহীন রাখতেই একাধিক পদক্ষেপ করার কথা ভাবা হয়েছে।

এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘রাস্তার ধারে নির্দিষ্ট জায়গা ছাড়া অন্যত্র গাড়ি রাখলেই মোটা অঙ্কের জরিমানা করা হবে। চালককে যদি না পাওয়া যায়, তবে রেকার দিয়ে গাড়ি টেনে নিয়ে যাওয়া হবে। যশোর রোড-সহ বিভিন্ন রাস্তার ট্র্যাফিক ব্যবস্থা মসৃণ রাখতেই এমন সিদ্ধান্ত।’’

একই সঙ্গে পুজো মিটলেই টোটোর দৌরাত্ম্য নিয়ন্ত্রণেও সক্রিয় হবে বারাসত পুলিশ জেলা। আধিকারিকেরা জানাচ্ছেন, বেআইনি টোটোয় ছেয়ে গিয়েছে বারাসত-মধ্যমগ্রামের শহর এলাকা। গাড়ি চলাচলের রাস্তায় টোটো
উঠে পড়ায় বাড়ছে দুর্ঘটনার আশঙ্কাও। এ সবের পাশাপাশি জিপিএস ব্যবস্থা কাজে লাগিয়ে আগামী দিনে ট্র্যাফিক নিয়ন্ত্রণের পরিকল্পনার কথাও ভাবা হচ্ছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন