—প্রতীকী ছবি।
পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়াতে অভিনব কায়দায় ক্যালেন্ডার বিলি থেকে স্থানীয় কেব্ল চ্যানেলে বিজ্ঞাপন! বেহালার একটি বাংলা মাধ্যম প্রাথমিক স্কুল শিক্ষাবর্ষ শুরুর অনেক আগে থেকে এ ভাবেই ব্যস্ত পড়ুয়ার সংখ্যা বাড়াতে।
বাংলা মাধ্যম স্কুলে ছাত্র-সঙ্কট এখন রাজ্য জুড়ে। অধিকাংশ অভিভাবকই সন্তানকে ইংরেজি মাধ্যমে পড়াতে আগ্রহী। পড়ুয়া টানতে সরকার তাই রাজ্য জুড়ে ১০০টি বাংলা মাধ্যম স্কুলকে ইংরেজি মাধ্যমে পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এই অবস্থায় ডায়মন্ড হারবার রোডের বেহালা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিভাগ কিন্তু ছাত্রছাত্রী আনতে চেষ্টার কসুর করছে না। ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের পঠনপাঠনের থেকে যে এই স্কুল পিছিয়ে নেই, তা জানানো হচ্ছে প্রচারে। ইংরেজি এবং বাংলাকে সমান গুরুত্ব দেওয়া, কম্পিউটার শিক্ষা, নিয়মিত
শিক্ষক-অভিভাবক বৈঠকের মতো আট দফা কর্মসূচির বর্ণনা রয়েছে ক্যালেন্ডারে। স্কুলের শিক্ষিকা কাকলি বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এই এলাকায় আটটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুল রয়েছে। অভিভাবকেরা সেখানেই সন্তানকে ভর্তি করতে চান। পড়ুয়া টানতে তাই এ ভাবে প্রচার করছি।’’ তিনি জানালেন, প্রতিদিনই স্থানীয় স্কুলগুলির আশপাশে এই ক্যালেন্ডার বিলি চলছে। বাজার এলাকা, অটোস্ট্যান্ডেও বিলি করা হচ্ছে ক্যালেন্ডার। কাজে নেমেছেন স্কুলের শিক্ষিকারাও। স্থানীয় কেব্ল চ্যানেলেও বিজ্ঞাপন দেওয়া হচ্ছে।
এ বছর মোট ৫৫০ জন পড়ুয়া ভর্তির লক্ষ্যে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। পড়ুয়াদের তৈরি জিনিস এবং আঁকা নিয়ে সম্প্রতি একটি প্রদর্শনী হয় স্কুলে। সেখানে এসে আগ্রহী অভিভাবকদের অনেকেই সন্তানকে এই স্কুলে ভর্তি করেছেন বলে জানালেন শিক্ষিকা চৈতালি গোস্বামী। প্রসঙ্গত, যাদবপুরের কাটজুনগর স্বর্ণময়ী বিদ্যাপীঠে এক সময়ে পড়ুয়া সংখ্যা ঠেকেছিল তলানিতে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার পিয়ালীতে গিয়ে প্রচার চালিয়ে পড়ুয়াদের এই স্কুলে ভর্তি করেন শিক্ষকেরা। ফলে এখন পড়ুয়া সংখ্যা অনেক বেড়েছে। বেহালা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রাথমিক বিভাগেও একই ভাবে পড়ুয়া বাড়ানোর চেষ্টা চলছে।