বেনিয়াপুকুরে গুলি-কাণ্ডে গ্রেফতার দু’পক্ষের ৬ জন

পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, গুলি চালানোর পিছনে রয়েছে ওই এলাকায় নির্মাণ ঘিরে তোলাবাজি। এন্টালি, বেনিয়াপুকুর-সহ সংলগ্ন এলাকা আগে সরফু নামে এক দুষ্কৃতীর দখলে ছিল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ জুলাই ২০১৮ ০১:২২
Share:

এই পিস্তল থেকেই চলে গুলি, দেখাচ্ছেন এক বাসিন্দা। সোমবার, বেনিয়াপুকুরে। নিজস্ব চিত্র

বেনিয়াপুকুরে সোমবার দিনের আলোয় গুলি চালানোর অভিযোগ উঠেছিল। ওই ঘটনায় দু’পক্ষের ৬ জনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ধৃতদের নাম মহম্মদ নাদিম খান, মাজহার, মহম্মদ আমিন, মহম্মদ দানিশ, সইফ সুলতান এবং ফয়জল। পুলিশ সূত্রের খবর, দু’পক্ষের দায়ের করা মোট পাঁচটি অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ছ’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, প্রথম অভিযোগটি দায়ের হয় রবিবার রাতে। ওই দিন লম্বু পাপ্পু ওরফে দীপক বাল্মীকির সঙ্গে গোলমাল হয় মহম্মদ আমিন ও তার দলের লোকেদের। সে সময়ে একটি অভিযোগ দায়ের করে লম্বু পাপ্পুর সঙ্গীরা। সোমবার স্যর সৈয়দ আহমেদ রোড ও তাঁতিবাগান রোডের মোড়ে লম্বু পাপ্পু পিস্তল নিয়ে আমিনের উপরে চড়াও হয় বলে অভিযোগ ওঠে। গোলমাল চলাকালীন পাপ্পু আমিনকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় বলে অভিযোগ। কিন্তু গুলি আমিনের পায়ে না লেগে পাপ্পুরই পায়ে লাগে।

পুলিশের একটি সূত্র জানাচ্ছে, গুলি চালানোর পিছনে রয়েছে ওই এলাকায় নির্মাণ ঘিরে তোলাবাজি। এন্টালি, বেনিয়াপুকুর-সহ সংলগ্ন এলাকা আগে সরফু নামে এক দুষ্কৃতীর দখলে ছিল। পুলিশের হাতে ধরা পড়ে জেলও খেটেছে সে। কিন্তু জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পরে সরাসরি কোনও তোলাবাজিতে সরফুর নাম জড়ায়নি। যদিও পুলিশের ওই সূত্রের দাবি, আমিনকে দিয়ে ওই দুষ্কৃতীই এলাকা দখলের চেষ্টায় রয়েছে।

Advertisement

সম্প্রতি স্যর সৈয়দ আহমেদ রোডে একটি নির্মাণকাজ কার দখলে থাকবে, তা নিয়ে ফের গোলমাল শুরু হয় আমিন ও পাপ্পুর। সপ্তাহ দুই আগে একটি অভিযোগের ভিত্তিতে ওই কাজ বন্ধ করে দেয় পুলিশ। পুলিশের একাংশের কথায়, আমিনই তার সঙ্গীদের দিয়ে ওই অভিযোগ করিয়েছিল। তদন্তকারীরা জানাচ্ছেন, সেই রাগ থেকেই রবি এবং সোমবার— দু’দফায় ওই গোলমাল।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন