বদ্ধ নালা উদ্ধারে সাফাই অভিযান নিউ টাউনে

বিধাননগর পুরসভা সূত্রের খবর, ওই খালের মাধ্যমে ৩, ৪, ৫, ৬ এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ডের নিকাশির জল হিডকো চ্যানেলে গিয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বর্ষা এলেই তাঁদের আতঙ্ক শুরু হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ জুলাই ২০১৯ ০১:৫৮
Share:

সাফাই: নিউ টাউনের কালীপার্ক এলাকায় পরিষ্কার করা হচ্ছে নিকাশি নালা। মঙ্গলবার। ছবি: স্নেহাশিস ভট্টাচার্য

ঝোপঝাড়, কচুরিপানা আর আবর্জনার স্তূপের নীচে আস্ত একটি নিকাশি নালা! আপাতদৃষ্টিতে দেখলে তা বোঝার উপায় নেই। মনে হত, আবর্জনা বোঝাই কোনও পরিত্যক্ত জমি। অথচ ওই বুজে যাওয়া নালার জন্য বিস্তীর্ণ এলাকার জমা জল সরাতে হিমশিম খেতে হত পুর প্রশাসনকে। মঙ্গলবার বিধাননগর পুরসভার তরফে কালীপার্ক থেকে শুরু হয়ে হিডকো চ্যানেলে মিশে যাওয়া সেই নিকাশি নালার একাংশ পরিষ্কার করে পুনরুদ্ধার করা হল।

Advertisement

বিধাননগর পুরসভা সূত্রের খবর, ওই খালের মাধ্যমে ৩, ৪, ৫, ৬ এবং ১২ নম্বর ওয়ার্ডের নিকাশির জল হিডকো চ্যানেলে গিয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বর্ষা এলেই তাঁদের আতঙ্ক শুরু হয়। কারণ, দীর্ঘ দিন ধরে জমে থাকা জল পেরিয়ে যাতায়াত করতে হয় স্থানীয়দের। দুর্ভোগের পাশাপাশি এই কারণে রোগের প্রকোপও ছড়ায়। আগে এটি রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভার অন্তর্গত ছিল। বছর কয়েক আগে তা পরিবর্তন হয়ে বিধাননগর পুরসভার অধীনে এলেও নালাটির বেহাল দশার কোনও পরিবর্তন হয়নি বলেই অভিযোগ। স্থির হয়ে থাকা নালার জল মশার আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। যার জেরে কয়েক বছর ধরে এলাকায় মশাবাহিত রোগের প্রকোপও বাড়ছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ, নিউ টাউনের একটি শপিং মলের পিছনের ওই নালাটি কার্যত মশার আঁতুড়ঘরে পরিণত হয়েছে। এ দিন সেখানে দেখা গেল, থামোর্কলের প্যাকিং বাক্স থেকে গাছের পাতা, প্লাস্টিক এবং অন্যান্য সামগ্রী ভরে রয়েছে। বিধাননগর পুরসভার কর্মীরা এ দিন সকাল থেকে বিশাল যন্ত্র দিয়ে বিপুল পরিমাণ পাঁক, প্লাস্টিক, থার্মোকল সেই নালা থেকে বার করছেন।

Advertisement

কিন্তু কেন এত খারাপ অবস্থা নিকাশি নালাটির? বিধাননগর পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, ওই নালা পরিষ্কারের দায়িত্ব কার, তা নিয়ে চাপানউতোর রয়েছে। তবে জনস্বার্থের কথা ভেবেই পরিষ্কার করা হচ্ছে। তাঁদের আরও দাবি, বুজে যাওয়া ওই নিকাশি পুনরুদ্ধার হওয়ায় বর্ষায় যেমন জল জমে থাকবে না, তেমনই মশাবাহিত রোগের প্রকোপও কমবে। মেয়র পারিষদ (নিকাশি) দেবাশিস জানা বলেন, ‘‘নালাটি পরিষ্কার হওয়ায় ৫-৬টি ওয়ার্ডের বাসিন্দা উপকৃত হবেন। এই সাফাই প্রক্রিয়ার কারণে ডেঙ্গির মরসুমে মশাবাহিত রোগও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে।’’ বিধাননগর পুরসভার ডেপুটি মেয়র তাপস চট্টোপাধ্যায় জানান, ওই নিকাশি নালা সাফাইয়ের দায়িত্ব যারই থাকুক, আপাতত জনস্বার্থের কথা ভেবে সেটি পরিষ্কার করছে পুরসভা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন