ফাইল চিত্র।
মাত্র ছ’দিনের ব্যবধানে দত্তাবাদে দুই কিশোরের মৃত্যুর পরে অবশেষে নড়েচড়ে বসল বিধাননগর পুরসভা। বৃহস্পতিবার থেকেই যুদ্ধকালীন তৎপরতায় এলাকায় মশা নিধনের কাজ শুরু হয়েছে। আজ,
শনিবার সকাল থেকে ওই এলাকায় মেডিক্যাল ক্যাম্প খোলা হবে। সেখানে রক্ত পরীক্ষারও ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
পুরসভার পদস্থ কর্তাদের দাবি, কয়েক দিনে তাঁরা একাধিক বার এলাকা পরিদর্শন করেছেন। মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায় জানান, এলাকার লোকজনদের নিয়েই এই পরিদর্শন করা হয়েছে। বাড়ির মধ্যে এবং চারপাশ থেকে লার্ভা মিলেছে। বাসিন্দাদের কাছ থেকে সমস্যা শুনে তা দ্রুত মিটিয়ে ফেলার ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা মেয়র পারিষদ (শিক্ষা) রাজেশ চিরিমারের দাবি, এলাকা সাফ রাখা, জমা জল সরানো, মশারি বিতরণ-সহ নানা কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। যদিও বাসিন্দাদের অভিযোগ, পুর প্রশাসনের এ হেন তৎপরতা আগে দেখা গেলে এই মৃত্যু এড়ানো সম্ভব হত।
দত্তাবাদে এক দিকে সরকারি প্রকল্প এলাকায় মশার প্রকোপ, অন্য দিকে এলাকায় জমা জল, ব্যক্তি মালিকানাধীন পুকুরগুলির বেহাল দশা, পর্যাপ্ত নিকাশির অভাব এবং বাসিন্দাদের সচেতনতার অভাব মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে বলে প্রশাসনের প্রাথমিক অনুমান। তবে প্রশ্ন উঠেছে, বছরের শুরু থেকেই কেন দত্তাবাদের জন্য বিশেষ পরিকল্পনা করা হল না। যদিও পুরসভার দাবি, বছরভর কাজ হয়েছে বলেই জানুয়ারি থেকে অগস্টের শুরু পর্যন্ত কোনও সমস্যা হয়নি।
তা হলে রাতারাতি কী ভাবে এলাকায় মশার প্রকোপ বাড়ল, যার জেরে দুই কিশোরের মৃত্যু হল, সেই প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে খোদ পুরসভাও।