মশা দমনে সমন্বয়ের সাড়া চার বছর পরে

বুধবার পুর ভবনে সেই সমন্বয় বৈঠকে ছিলেন মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল অপসারণ) দেবাশিস জানা, মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায়, মেয়র পারিষদ (পরিবেশ) রহিমা বিবি (মণ্ডল) এবং অন্য আধিকারিকেরা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:৫৮
Share:

বিধাননগর পুরসভা।—ফাইল চিত্র।

৪৮ মাস পেরিয়ে টনক নড়ল বিধাননগর পুর কর্তৃপক্ষের!

Advertisement

বর্তমান বিধাননগর পুরবোর্ড গঠন হওয়ার পরেই স্বাস্থ্য, পরিবেশ এবং জঞ্জাল অপসারণ বিভাগের মধ্যে সমন্বয় করে মশা প্রতিরোধের কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছিল। অভিযোগ, সেই সিদ্ধান্ত এখনও কাগজে-কলমেই রয়েছে। অবশেষে চার বছর পার করে টনক নড়েছে বিধাননগর পুর প্রশাসনের।

বুধবার পুর ভবনে সেই সমন্বয় বৈঠকে ছিলেন মেয়র পারিষদ (জঞ্জাল অপসারণ) দেবাশিস জানা, মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) প্রণয় রায়, মেয়র পারিষদ (পরিবেশ) রহিমা বিবি (মণ্ডল) এবং অন্য আধিকারিকেরা। পুরসভা সূত্রের খবর, চলতি বছরের বাকি দিনগুলিতে বিশেষ অভিযান চালানো হবে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আবর্জনা সাফাই, গাছ ছাটা, মশার তেল ছড়ানো, ধোঁয়া দেওয়ার কাজ করা হবে। জোর দেওয়া হবে সচেতনতার প্রচারে। এ দিন আরও একটি সমস্যা নিয়ে আলোচনা হয়। তা হল, অনেক ক্ষেত্রেই মশা নিধনের কাজে যুক্ত কর্মীদের বাড়িতে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ ওঠে। ঠিক হয়েছে, বাড়ি বাড়ি তথ্য সংগ্রহে যাওয়া পরিচিত মুখেদের সঙ্গেই ঢুকবেন মশা নিধনের কর্মীরা।

Advertisement

দেবাশিস জানা জানান, এ বার থেকে তিনটি বিভাগ সমন্বয় করে কাজ করবে। তাঁর দাবি, ‘‘২০১৭ সালে জ্বর ও ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা তিন হাজার ছিল। সেই তুলনায় ২০১৮ এবং চলতি বছরে সংখ্যাটা এক তৃতীয়াংশ কম হলেও আরও নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সে জন্য দ্রুত অভিযানও শুরু হবে।’’

পুরসভা সূত্রের খবর, ২০১৫ সালে বর্তমান বোর্ড গঠনের পরে মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে সমন্বয় করার কথা বলা হলেও বাস্তবে তা হয়নি বলেই অভিযোগ। সেই অভিযোগ অস্বীকার করে পুর কর্তৃপক্ষ বলেন, ‘‘যে কোনও কারণেই হোক তিন বিভাগকে নিয়ে একসঙ্গে বৈঠক করা যায়নি। তবে সকলে মিলেই মশা নিয়ন্ত্রণের কাজ হয়েছে।’’

চলতি বছরে পুজোর মরসুম থেকে মশাবাহিত রোগের প্রকোপ বেড়েছে। ইতিমধ্যেই জ্বর ও ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, তাতেই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন