রফি আহমেদ কিদোয়াই রোডের হোটেলে এক মহিলা ও শিশু খুনের ঘটনার কিনারা হল ঝাড়খণ্ডের জশিডিতে। ঘটনার ১০ দিনের মাথায় অভিযুক্ত, বছর চব্বিশের অজয় পণ্ডিতকে জশিডি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তদন্তকারীরা জানান, নিহত মহিলা অজয়ের স্ত্রী কাজল এবং শিশুকন্যাটি তার শ্যালিকার মেয়ে, নন্দিনী।
কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা-প্রধান পল্লবকান্তি ঘোষ জানান, শ্যালিকার সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে উঠেছিল অজয়ের। ইদানীং তাঁর সঙ্গেই থাকত অজয়। এই নিয়ে গোলমাল চলছিল স্ত্রীর সঙ্গে। প্রাথমিক ভাবে মনে করা হচ্ছে, ঝামেলা মেটাতেই বেড়ানোর নাম করে স্ত্রী ও শ্যালিকার মেয়েকে কলকাতায় নিয়ে এসে খুন করে চম্পট দিয়েছিল বিহারের জামুই এলাকার গিধাউয়ের বসিন্দা অজয়। পুলিশ যাতে তার সন্ধান না-পায়, সেই জন্য শম্ভুনাথ গুপ্ত নামে নালন্দার এক বাসিন্দার ভোটার কার্ড হোটেলে জমা দিয়েছিল সে। শম্ভুনাথ তদন্তকারীদের জানান, তাঁর ভোটার কার্ড হারিয়ে গিয়েছিল। অজয় কী ভাবে সেটি পেল, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
গত ৩০ জুন রফি আহমেদ কিদোয়াই রোডের একটি হোটেলের কামরা থেকে ওই মহিলা ও শিশুর মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। হোটেলের কর্মীরা পুলিশকে জানান, ২৯ জুন ওখানে ওঠেন তিন জন। শম্ভুনাথ গুপ্ত বলে পরিচয় দিয়ে এক ব্যক্তি কামরা ভাড়া নেয়। পরের দিন বেলা ৩টে নাগাদ সাফাইকর্মী ওই কামরায় গিয়ে দেখেন, বিছানায় পড়ে আছে মহিলার মৃতদেহ। আট বছরের শিশুকন্যাটির দেহ মেলে আলমারির ভিতরে। মহিলার দেহের পাশে ৫০টি ঘুমের ওষুধের খালি স্ট্রিপ পড়ে ছিল।
তদন্তকারীরা জানিয়েছিলেন, মহিলা ও শিশুটির হাতে-পায়ে বিদ্যুতের তার জড়ানো ছিল। শরীরের বিভিন্ন অংশে ছিল বিদ্যুতের শক দেওয়ার চিহ্ন। ঘটনার পরে ফের জশিডিতে পালিয়ে গিয়ে শ্যালিকার কাছেই ছিল অজয়। সেখান থেকেই তাকে গ্রেফতার করে পুলিশ।