হেলমেটহীন চালক বা আরোহীকে দেখলে পুলিশ আর এখন মোটরসাইকেল তেমন দাঁড় করায় না। পাম্পগুলিও তাঁদের হেলমেটহীন মাথা দেখে তেল দিচ্ছে না, তেমন কথাও চোখ বুজে বলা যাবে না। কাজেই কলকাতার রাজপথে এখন হেলমেটে মাথা না ঢেকে মোটরসাইকেল চালানো বা তাতে চড়ার বিরাম নেই। ফলে দুর্ঘটনায় মৃত্যুরও কমতি নেই। শনিবার রাতে গার্ডেনরিচ রোডের কাছে পশ্চিম বন্দর এলাকার নিমক মহল রোডে দুর্ঘটনায় আবারও হেলমেটহীন এক মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু হয়েছে।
এই ঘটনায় মৃত মোটরসাইকেল চালকের নাম সঞ্জয় সাঁতরা (৫০)। পেশায় মৎস্য ব্যবসায়ী সঞ্জয়বাবুর বাড়ি দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের দেউলি গ্রামে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দুর্ঘটনাটি ঘটে শনিবার রাত সওয়া ১১টা নাগাদ। সে সময়ে নিমকমহল রোডে ধরে যাচ্ছিলেন সঞ্জয়বাবু। একটি ট্রেলার মোটরবাইককে ধাক্কা মারলে ছিটকে রাস্তায় পড়ে যান সঞ্জয়বাবু। ট্রেলারের পিছনের চাকা তাঁর শরীরের উপর দিয়ে চলে যায়। এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে সঞ্জয়বাবুকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
পুলিশ ও এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, বন্দরের ওই তল্লাট দিয়ে নিয়মিত বড় বড় ট্রেলার যাতায়াত করে। ট্রেলারের ধাক্কায় দুর্ঘটনাও ঘটে মাঝেমধ্যেই। তবুও বহু মোটরবাইকের চালক ও আরোহী হেলমেট ছাড়াই যাতায়াত করেন। কিন্তু পুলিশ সেই সব মোটরসাইকেল আটকায় না কেন? এর সদুত্তর অবশ্য লালবাজারের কর্তাদের অনেকের কাছে নেই।
স্থানীয় বাসিন্দাদের আরও বক্তব্য, গোটা বন্দর এলাকার বিস্তীর্ণ তল্লাট জুড়ে মোটরসাইকেল নিয়ে দাপিয়ে বেড়ান হেলমেটহীন চালক ও আরোহীরা। কোনও কোনও ক্ষেত্রে দিনেদুপুরে একটি মোটরসাইকেলে তিন জন এবং সকলেই হেলমেট ছাড়া— এমন ছবি আকছার দেখা গেলেও রাস্তায় মোতায়েন ট্র্যাফিক গার্ড বা থানার পুলিশ দেখেও যেন দেখেন না। তবে ওই দিন যে ভাবে দুর্ঘটনাটি ঘটেছে, তাতে মাথায় হেলমেট থাকলেও সঞ্জয়বাবু বাঁচতেন কি না, তা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে পুলিশই। ওই দিন দুর্ঘটনার পরেই ট্রেলার থেকে নেমে পালিয়ে যায় চালক। তার খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।
অন্য দিকে, রবিবার বিকেল সাড়ে তিনটে নাগাদ আলিপুর রোডে পার্কিংয়ে দাঁড়িয়ে থাকা একটি অ্যাপ ক্যাবকে ধাক্কা মারে একটি বিলাসবহুল সেডান। ঘটনাটি ঘটেছে আলিপুর এলাকার কমান্ড হাসপাতালের সামনে। দু’টি গাড়িরই ক্ষতি হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনায় রাত পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করেনি পুলিশ।