Calcutta News

বিক্রম-সোনিকা আমার বন্ধু, তবু আজ মুখ খুলছি

গত কয়েক দিন ধরে অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আমাকেও অনেকে জিজ্ঞেস করেছেন। নানা কিছু। কিন্তু, পুলিশ ছাড়া কারও কাছেই তেমন করে মুখ খুলিনি। আজ মনে হচ্ছে বলাটা প্রয়োজন। মুখ খোলাটা জরুরি।

Advertisement

অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ১০ মে ২০১৭ ২০:১৭
Share:

অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়।—নিজস্ব চিত্র।

গত কয়েক দিন ধরে অনেকের মনে অনেক প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আমাকেও অনেকে জিজ্ঞেস করেছেন। নানা কিছু।

Advertisement

কিন্তু, পুলিশ ছাড়া কারও কাছেই তেমন করে মুখ খুলিনি। আজ মনে হচ্ছে বলাটা প্রয়োজন। মুখ খোলাটা জরুরি। না হলে আরও ক্ষতি হয়ে যাবে।

সে দিন রাত সওয়া দুটো নাগাদ আমার দিকে হাতটা তুলে বাই বলেছিল সনিকা। সঙ্গে বিক্রমও ছিল। আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু রোডের পানশালাতে ওটাই যে সোনিকার সঙ্গে আমার শেষ দেখা, তা ভাবতেই পারিনি। বিক্রমও বাই বলেছিল। তার পরেই ওরা বেরিয়ে পড়ে। পরের দিন দুপুরে খবরটা পেয়েছিলাম। সোনিকা আর নেই। মারাত্মক একটা কষ্ট হয়েছিল। সেই কষ্টটা এখনও পাচ্ছি। ঘোরটা কাটিয়ে উঠতে পারিনি।

Advertisement

কেন, মুখটা খুলতে চাইছি?

বিক্রমের দিকে আঙুল তোলা আমার লক্ষ্য নয়। ও আমার ভাল বন্ধু। গত নভেম্বর থেকে সেই সম্পর্ক আরও গাঢ় হয়েছে। সোনিকাও আমার দীর্ঘ দিনের বন্ধু। বছর পাঁচেক ধরে ওর সঙ্গে পারিবারিক যোগাযোগ ছিল। হ্যাঁ, সে দিন বিক্রমকে আমি মদ খেতে দেখেছিলাম। কিন্তু কখনই ওকে দেখে মনে হয়নি, ও অপ্রকৃতিস্থ বা বেসামাল। হি ওয়াজ ওকে। আমি না আর বন্ধু হারাতে চাই না এ ভাবে। এক জন সচেতন নাগরিক হিসাবে তাই পুলিশকে যত রকম ভাবে সাহায্য করা যায় সেটাই করছি। পুলিশ আমাকে ডাকার মিনিট পনেরোর মধ্যেই আমি থানায় হাজিরা দিয়েছি। তার পর থেকে আমাকে যত বার ডাকা হয়েছে তত বার থানায় গিয়েছি। আমি চাই না এ ভাবে আর বন্ধুরা হারিয়ে যাক। বিক্রম-সোনিকার এই ঘটনা থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়া উচিত। আমাদের এই জেনারেশনের আর একটু সচেতন হওয়া উচিত। যা খুশি তাই করা যায় না। এটা বোঝার সময় এসেছে বোধহয়।

আরও পড়ুন
মদ খেয়েছিলাম, কিন্তু মত্ত ছিলাম না: পুলিশকে বিক্রম
কিছু ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে না তো? প্রশ্ন সোনিকার বাবা-মায়ের

কেন এ ভাবে সোনিকার মতো তরতাজা প্রাণকে চলে যেতে হবে! আমি গত ১০ বছরে এক চুমুকও মদ খাইনি। মদ এবং মাদকের বিরুদ্ধে কলকাতা পুলিশের যে অভিযান আমি তার ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর। আমাদের আরও সচেতন হতে হবে।

কেন আমার বন্ধুকে এ ভাবে চলে যেতে হবে বলুন তো? প্রশ্নটা আজ কুরে কুরে খাচ্ছে। তাই মুখটা খুলতে বাধ্য হলাম।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন