SSKM Hospital

এসএসকেএমে রোগী নিয়ে তিন দিন ধরে ঘুরছেন বিধায়ক, বেড না পেয়ে উগরে দিলেন ক্ষোভ

বঙ্কিম নদিয়ার বিজেপি বিধায়ক। তিনি জানান, তাঁর কেন্দ্র চাকদহের বাসিন্দা মিলন বিশ্বাস নামে বছর তেত্রিশের এক যুবকের দিন দশেক আগে ব্রেন স্ট্রোক হয়। ওই যুবক তাঁর দলেরই কর্মী।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১১ ডিসেম্বর ২০২৩ ১৯:৫৮
Share:

—ফাইল চিত্র।

জেলার হাসপাতালে পরিকাঠামো না থাকায় ‘মরণাপন্ন’ রোগীকে কলকাতায় নিয়ে এসেছিল পরিবার। কিন্তু শহরের সরকারি হাসপাতালগুলিতে দিনের পর দিন ঘুরেও কোনও শয্যা মেলেনি। রোগীকে বাঁচাতে বাধ্য হয়ে তাঁকে শহরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে বটে। এখন টাকার অভাবে সেখানেও আর চিকিৎসা সম্ভব নয়! এই পরিস্থিতিতে নিজের এলাকার ওই রোগীর জন্য ছুটে এসেছেন খোদ বিধায়ক বঙ্কিম ঘোষ! ভেবেছিলেন, তিনি হয়তো ব্যবস্থা করে দিতে পারবেন। এর জন্য তিন-চার দিন ধরে হন্যে হাসপাতালে ঘুরলেনও। কিন্তু মিলল না শয্যা! ক্ষোভ উগরে বিধায়কের মন্তব্য, ‘‘এই যদি অবস্থা হয়, তা হলে সাধারণ গরিব মানুষ চিকিৎসা পাবে কী করে!’’

Advertisement

বঙ্কিম নদিয়ার বিজেপি বিধায়ক। তিনি জানান, তাঁর কেন্দ্র চাকদহের বাসিন্দা মিলন বিশ্বাস নামে বছর তেত্রিশের এক যুবকের দিন দশেক আগে ব্রেন স্ট্রোক হয়। ওই যুবক তাঁর দলেরই কর্মী। দলের মণ্ডলের সাধারণ সম্পাদক। তাঁকে প্রথমে জেলার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সেখানে আইসিইউ-র ব্যবস্থা না থাকায় কলকাতায় নিয়ে আসা হয় চিকিৎসার জন্য। কিন্তু শহরের কোনও সরকারি হাসপাতালেই তাঁর জন্য আইসিইউ বেডের ব্যবস্থা করতে পারেনি পরিবার। তাদের দুরবস্থার কথা জেনেই তিনি ছুটে এসেছেন। কিন্তু এখনও পর্যন্ত কোনও সুরাহা হয়নি। বঙ্কিম জানান, সরকারি হাসপাতালে জায়গা না পাওয়ায় বাধ্য হলেই রোগীকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। কিন্তু সেখানে ইতিমধ্যেই পাঁচ লক্ষ টাকা বিল উঠে গিয়েছে। সেই টাকা মেটানোর সামর্থ্য পরিবারের নেই। ওই হাসপাতাল থেকেও রোগীকে বার করে আনা হবে। কিন্তু রোগীকে আইসিইউ-তে রেখেই চিকিৎসা জরুরি। যা সরকারি হাসপাতাল ছাড়া সম্ভব নয়।

বিজেপি বিধায়কের দাবি, রোগীকে এসএসকেএমে ভর্তি করানোর জন্য তিনি শাসকদলের এক বিধায়কের সঙ্গেও কথা বলেছেন। সেই নেতাই তাঁকে হাসপাতালের সুপার ও ডিরেক্টরের সঙ্গে দেখা করতে বলেন। কিন্তু এখনও কারও সঙ্গে তাঁর দেখা হয়ে ওঠেনি। বঙ্কিম বলেন, ‘‘যত বারই দেখা করার চেষ্টা করলাম, শুনলাম যে ওঁরা মিটিংয়ে রয়েছেন। তাই এখনও দেখা হয়ে ওঠেনি। আমি কালকের দিনটা দেখব। তার পর বিধায়ক হিসাবে যা করার করব। প্রয়োজনে মুখ্যমন্ত্রী ও বিরোধী দলনেতাকে চিঠি লিখব।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন