ঘুমন্ত স্বামীর পাশেই মিলল স্ত্রীর মৃতদেহ

স্বামী ঘুমোচ্ছিলেন খাটে। স্ত্রীর দেহ পড়েছিল পাশেই মেঝেতে। বৃহস্পতিবার সেই গৃহবধূর দেহ উদ্ধারের পরে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর গলায় শ্বাসরোধের চিহ্ন ছিল। তবে, এটা খুন কি না তা বলার জন্য ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায় পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০২:২০
Share:

স্বামী ঘুমোচ্ছিলেন খাটে। স্ত্রীর দেহ পড়েছিল পাশেই মেঝেতে।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সেই গৃহবধূর দেহ উদ্ধারের পরে প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর গলায় শ্বাসরোধের চিহ্ন ছিল। তবে, এটা খুন কি না তা বলার জন্য ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চায় পুলিশ। এই গৃহবধূর নাম সুধা সাউ (২৪) বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত সুধার স্বামী বিজয় সাউকে আটকে রেখে জেরা করেছে পুলিশ।

ঘটনাটি মধ্য কলকাতার নিউ মার্কেট থানা এলাকার। জানবাজার এলাকার গলি, তস্য গলির মধ্যেই সারি সারি কয়েকটি ছোট ছোট ঘর। এ রকম একটি ঘরেই থাকেন বিজয়। বছরখানেক আগে তাঁর সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল বিহারের গয়ার বাসিন্দা সুধার। পুলিশ জানিয়েছে, তিনি আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন।

Advertisement

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে গেলে এক প্রতিবেশী সুশীলা সাউ জানান, সুধা ও বিজয়ের পাশে আর একটি ঘর। সেই ঘরে থাকেন বিজয়ের মা ও বোন। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সুধার শাশুড়ি ঘরে থাকলেও ননদ বাড়িতে ছিলেন না। তিনি সেলাইয়ের কাজ করতে বাইরে গিয়েছিলেন বলে প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন। সুশীলার কথায়, ‘‘আজ দুপুরে বিজয় ও সুধা তাঁদের ঘরে ঘুমোতে চলে যান। বিকেলে ছেলেকে ডাকতে গিয়ে তাঁর মা দেখেন, বৌমা ঘরের মেঝেতে অস্বাভাবিক অবস্থায় পড়ে রয়েছেন। অন্য দিকে ছেলে বিছানায় ঘুমাচ্ছেন।’’ ঘটনাস্থলে দাঁড়িয়ে প্রতিবেশীরা জানান, বিজয়দের ঘরে পর্দা টানা ছিল, দরজা খোলাই ছিল। বিজয়ের মা সুধার গায়ে বার বার ধাক্কা মারার পরেও কোনও সাড়া না মেলায় তিনি ভয়ে চিৎকার করে ওঠেন। তাঁর চিৎকারেই বিজয়দের ঘরে ছুটে যান প্রতিবেশীরা।

স্থানীয় সূত্রের খবর, বিজয় নিউ মার্কেটের একটি জুতোর দোকানে কাজ করেন। প্রায়ই মত্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরে তিনি সুধাকে মারধর করতেন বলে প্রতিবেশীরা অভিযোগ করেছেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, এ দিন বিজয় কাজে যাননি। তবে এ দিন ওই ঘর কোনও চেঁচামেচির শব্দ শুনতে পাননি প্রতিবেশীরা। বিজয়ের মা জানবাজারেই সবজি বিক্রি করেন। বিজয়ের বাবা আগেই মারা গিয়েছেন বলেও এ দিন প্রতিবেশীরা জানান।

এ দিনই সুধার মৃত্যুর খবর বিহারে তাঁর বাড়িতে জানানো হয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই এলাকাতেই সুধার বোন থাকেন। খবর পেয়ে রাতে তিনি থানায় যান। বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। প্রাথমিক ভাবে একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা দায়ের করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন