কলকাতায় তাইল্যান্ডের দূতাবাসে বোমা বিস্ফোরণের হুমকি

সকাল সাড়ে ৯ টা নাগাদ তখন সবে অফিসে ঢুকতে শুরু করেছেন কর্মচারীরা। পৌনে দশটা নাগাদ অফিসের ই-মেলে হঠাৎই একটি ই-মেল দেখে চমকে ওঠেন এক জন। অফিসে বোমা রাখা রয়েছে এবং কিছু ক্ষণের মধ্যেই বিস্ফোরণ ঘটবে বলে লেখা ছিল ওই মেলে। এর মধ্যেই বেজে ওঠে অফিসের টেলিফোন। কর্মচারীদের দাবি, আইবি-র অফিসার পরিচয় দিয়ে এক জন জানতে চান, তাঁদের কাছে এ রকম কোনও মেল এসেছে কি না? ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন কর্মচারীরা। খবর দেওয়া হয় থানায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬ ১২:০৬
Share:

ছবি- বিশ্বনাথ বণিক।

সকাল সাড়ে ৯ টা নাগাদ তখন সবে অফিসে ঢুকতে শুরু করেছেন কর্মচারীরা। পৌনে দশটা নাগাদ অফিসের ই-মেলে হঠাৎই একটি ই-মেল দেখে চমকে ওঠেন এক জন। অফিসে বোমা রাখা রয়েছে এবং কিছু ক্ষণের মধ্যেই বিস্ফোরণ ঘটবে বলে লেখা ছিল ওই মেলে। এর মধ্যেই বেজে ওঠে অফিসের টেলিফোন। কর্মচারীদের দাবি, আইবি-র অফিসার পরিচয় দিয়ে এক জন জানতে চান, তাঁদের কাছে এ রকম কোনও মেল এসেছে কি না? ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে পড়েন কর্মচারীরা। খবর দেওয়া হয় থানায়।

Advertisement

আরও পড়ুন- ইরাক যেতে না দিলে উড়িয়ে দেব বিমানবন্দর, হুমকি যুবকের

সোমবার সকাল ১০ টা নাগাদ গ়ড়িয়াহাট থানা এলাকার ম্যান্ডেভিলা গার্ডেনে তাই দূতাবাসের ঘটনা। খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পৌঁছন পুলিশ অফিসাররা। পুলিশ জানিয়েছে, খবর শুনে আশপাশের দুটি স্কুলের পড়ুয়াদের সরিয়ে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে যায় বম্ব স্কোয়াড এবং ডগ স্কোয়াড। চার তলা বাড়ির পুরোটা জু়ড়ে প্রায় ঘন্টাদেড়েক ধরে তাঁরা তন্নতন্ন করে তল্লাশি চালান। যদিও শেষ পর্যন্ত কিছুই পাওয়া যায়নি বলে দাবি পুলিশের। তবে ঘটনাটির তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

তাই দূতাবাসের বাঁ পাশে রয়েছে সাউথ পয়েন্ট স্কুল এবং ডান দিকে রয়েছে ‘মাদার্স কেয়ার’ নামে একটি শিশুদের স্কুল। স্থানীয় সূত্রের খবর, সাউথ পয়েন্টের বার্ষিক পরীক্ষা হয়ে যাওয়ার পর স্কুল কয়েক দিনের জন্য ছুটি রয়েছে। সেই সুযোগে স্কুলের বার্ষিক অনুষ্ঠানের জন্য কয়েক জন পড়ুয়াকে নিয়ে মহড়া চলছিল। বোমাতঙ্কের খবর পেয়েই সাউথ পয়েন্টের ওই পড়ুয়াদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অন্য দিকে, শিশুদের স্কুলটি শুরু হয়েছিল সাড়ে ন’টা থেকেই। বোমাতঙ্কের খবর পেয়ে শিশুগুলিকে রাস্তার উল্টো দিকে ওই স্কুলের প্রতিষ্ঠাতা মধুদেবীর বাংলোর ভিতরে ঢুকিয়ে নেওয়া হয়। তার পর প্রত্যেকটি শিশুর অভিভাবককে স্কুলের তরফে ফোন করে জানানো হয়। অভিভাবকরা জানতে পেরে একে একে এসে সেখান থেকেই শিশুদের নিয়ে যান।

তবে শিশুদের কিছু না হলেও অভিভাবকদের চোখে-মুখে আতঙ্কের ছাপ স্পষ্ট। স্কুলের ফোন পেয়ে নিজেদের কাজ ছেড়ে ছুটে এসেছিলেন কসবার বাসিন্দা সাওলি চৌধুরী এবং অমিত চৌধুরী। তাঁদের সন্তান অরীনকে নেওয়ার পর তাঁরা বলেন, ‘‘স্কুলের ফোন পেয়ে প্রথমে কিছুটা ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। তবে এখন বাচ্চাকে ফিরে পেয়ে ভাল লাগছে।’’ আরেক পড়ুয়া ঋষভ দাসের মা মাম্পি দাস বলেন, ‘‘স্কুলের ম্যাডামদের ঠিক সময়ে সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন