তড়িদাহত মা ও মেয়ে
নিজস্ব সংবাদদাতা
বৈদ্যুতিক তারে হাত লেগে ছটফট করছিল পাঁচ বছরের মেয়েটি। তা দেখে ছুটে গিয়ে মেয়েকে জড়িয়ে ধরেছিলেন মা। আর তাতেই ঘটল বিপত্তি। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হল মা-মেয়ে দু’জনেরই। বুধবার সকালে মর্মান্তিক এই ঘটনাটি ঘটেছে জোড়াসাঁকো এলাকায়। পুলিশ জানায়, কালীঘাটে পুজো দেওয়ার জন্য কয়েক দিন আগে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে কলকাতায় স্বামীর কাছে এসেছিলেন বিহারের বাসিন্দা গীতা সাউ। তাঁর স্বামী মহেন্দ্র সাউ জোড়াসাঁকোর মার্কাস লেনে একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকেন। তিনি রান্নার কাজ করেন। এ দিন সকালে এক মেয়ে খুশবুকে নিয়ে স্নান করতে গিয়েছিলেন গীতাদেবী। বাথরুমের পাশেই জলের পাম্প রয়েছে। আচমকাই সেই মেশিনের তারে হাত লেগে যায় খুশবুর। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে সে ছটফট করতে শুরু করে। তা দেখে গীতাদেবী ছুটে এসে খুশবুকে জড়িয়ে ধরেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনিও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, কাছেই গীতাদেবীর আরও দুই সন্তান দাঁড়িয়েছিল। আচমকা এই ঘটনায় তারা ভয় পেয়ে কাঁদতে শুরু করে। কান্নার শব্দ পেয়ে আশপাশের বাসিন্দারা ছুটে আসেন। বিদ্যুৎ সরবরাহ বিচ্ছিন্ন করে তাঁরাই গীতাদেবী ও খুশবুকে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই তাঁদের মৃত ঘোষণা করা হয়।
ধর্ষণে জেল
সাত বছর আগে মানিকতলায় নাবালিকা গণধর্ষণ মামলায় দু’জনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দিলেন বিচারক। ওই নাবালিকার চিকিৎসার জন্য প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানার নির্দেশও দেওয়া হয়। অনাদায়ে আরও ছ’মাস জেল খাটতে হবে। বুধবার এই নির্দেশ দেন শিয়ালদহ দ্বিতীয় দায়রা আদালতের বিচারক সুব্রতা হাজরা (সাহা)। অভিযুক্ত আনন্দ দাস ও শীতল রায় মানিকতলা মেন রোডের বাসিন্দা। আদালত সূত্রের খবর, মেয়েটির মা বিভিন্ন বাড়িতে রান্নার কাজ করতেন। ২০০৭-এর ২৮ জুলাই তিনি কাজে বেরিয়ে গেলে আনন্দ ও শীতল বছর এগারোর ওই কিশোরীকে মোবাইলে ছবি দেখানোর টোপ দিয়ে তাদের ঘরে ডেকে ধর্ষণ করে।
ফিরোজা বেগম স্মরণে অনুষ্ঠান
প্রয়াত সঙ্গীতশিল্পী ফিরোজা বেগমের স্মরণে বুধবার কলকাতার বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশন এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিভিন্ন শিল্পী ও বিশিষ্টজনেরা ফিরোজা বেগমের গায়কী এবং তাঁর সঙ্গীতজীবনের নানা দিক নিয়ে আলোচনা করেন। স্মরণ-অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কলকাতায় বাংলাদেশের ডেপুটি হাই-কমিশনার আবিদা ইসলাম, সঙ্গীতশিল্পী হৈমন্তী শুক্ল, কল্যাণী কাজী, নজরুল গবেষক বাঁধন সেনগুপ্ত, সাহিত্যিক জিয়াদ আলি, পশ্চিমবঙ্গের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের প্রধান সচিব অত্রি ভট্টাচার্য এবং মিষ্টি কাজী।
চাঙড় ভেঙে জখম
চাঙড় ভেঙে জখম হলেন দুই ব্যক্তি। বুধবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটেছে বিধাননগরের উন্নয়ন ভবনে। আহতদের নাম বহ্নি শূর এবং সমরেন্দ্রনাথ সাধুখা।ঁ সমরেন্দ্রনাথবাবু উন্নয়ন ভবনেরই প্রাক্তন কর্মী। পুলিশ জানায়, এ দিন ওই ভবনের একতলায় ক্যান্টিনের কাছে আচমকাই ছাদের চাঙড় ভেঙে পড়ে। চাঙড়ের আঘাতে মাথা ফেটে যায় সমরেন্দ্রনাথবাবুর। তিনি ও বহ্নিদেবী বিধাননগর মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি। সমরেন্দ্রনাথবাবুর মাথায় ২৭টি সেলাই পড়েছে।
প্রৌঢ়ার অপমৃত্যু
অস্বাভাবিক মৃত্যু হল এক মহিলার। বুধবার, আলিপুর মিন্ট কলোনির আবাসনে। পুলিশ জানায়, মৃতার নাম শান্তিলতা মহান্তি (৫৫)। খবর পেয়ে এ দিন সকাল এগারোটা নাগাদ ঘরের দরজা ভেঙে তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। এসএসকেএমে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা শান্তিলতাদেবীকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। কোনও সুইসাইড নোট অবশ্য মেলেনি।