পুড়ল কারখানা
নিজস্ব সংবাদদাতা
আগুনে ভস্মীভূত হল একটি গেঞ্জি কারখানা। শনিবার, জোড়াবাগান থানার মানিক বসু ঘাট স্ট্রিটে। ওই কারখানার লাগোয়া একটি বস্তি রয়েছে। এলাকাবাসীর তত্পরতায় সেটি কোনও রকমে রক্ষা পেয়েছে। দমকলের অনুমান, শর্ট সার্কিট থেকেই এই বিপত্তি। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, এ দিন সকালে স্থানীয় বাসিন্দারা ওই বাড়ির দোতলা থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন। দমকলের পাঁচটি ইঞ্জিন এসে আগুন নেভায়। পাশের ঘিঞ্জি বস্তি ক্ষতিগ্রস্ত না হলেও কারখানার ঠিক পাশে থাকা একটি বাড়ির এসি ও জানলার একাংশ পুড়ে গিয়েছে। বাসিন্দাদের অভিযোগ, মানিক বসু ঘাট স্ট্রিটের ওই বাড়িটিতে গুদামের পাশাপাশি বেআইনি ভাবে ওই কারখানাটি চলছিল। দাহ্য পদার্থে ঠাসা ওই কারখানার ভিতরে কোনও অগ্নি-নির্বাপণ ব্যবস্থা ছিল না বলে অভিযোগ দমকলের। এ দিনই রাত ৮টা নাগাদ আগুন লাগে ক্যানিং স্ট্রিটের একটি বহুতলের ছ’তলার খোলা বারান্দায় রাখা আবর্জনায়। হেয়ার স্ট্রিট থানার পুলিশ জানায়, ওই বারান্দায় রাখা ছিল ছাঁট কাপড়, ফোমের টুকরো, পিজবোর্ড। প্রথমে ওই বহুতলের দুই পরিচারিকা বালতি করে জল দিয়ে আগুন নেভানোর চেষ্টা করে। পরে দমকলের চারটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে গিয়ে আধঘণ্টার চেষ্টায় আগুন আয়ত্তে আনে। দমকলকর্মীরা জানান, কী ভাবে আগুন লাগল রাত পর্যন্ত তা জানা যায়নি।
পুড়ে মৃত বৃদ্ধ
আগুনে পুড়ে মৃত্যু হল এক বৃদ্ধের। শনিবার রিজেন্ট পার্ক থানার পূর্ব পুটিয়ারি এলাকার ঘটনা। মৃত অমলপ্রসাদ ঘোষ (৭৩) পূর্ব পুটিয়ারির আনন্দ পল্লীর বাসিন্দা। পুলিশ জানিয়েছে, অমলবাবুর স্ত্রী মারা গিয়েছেন বছর খানেক আগে। তার পর থেকেই মেয়ের সঙ্গে থাকতেন তিনি। এ দিন সকালে তাঁর মেয়ে বেরিয়ে যাওয়ার পর কাজের লোক এসে ডাকাডাকি করেও সাড়া পায়নি। তখনই বাড়িটি থেকে ধোঁয়া বেরোতে দেখেন স্থানীয়েরা। দরজা ভেঙে স্থানীয় বাসিন্দারা অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় অমলবাবুকে উদ্ধার করেন। হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিত্সকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জেনেছে স্ত্রী মারা যাওয়ার পর থেকেই মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন অমলবাবু। দেহটি ময়না তদন্তে পাঠানো হয়েছে।