মা-মেয়ের পরে মৃত্যু অগ্নিদগ্ধ বাবারও

মা-মেয়ের পরে মৃত্যু হল বাবারও। রবিবার রাতে দত্তপুকুর থানার সদরপুরের নিজের বাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হন কুশ ঘোষ, তাঁর স্ত্রী কাজল ও শিশুকন্যা সায়ন্তিকা। সোমবারই মৃত্যু হয়েছিল মা ও মেয়ের। মঙ্গলবার আর জি কর হাসপাতালে মৃত্যু হয় কুশবাবুর (৩৮)।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০২:০৯
Share:

মা-মেয়ের পরে মৃত্যু হল বাবারও। রবিবার রাতে দত্তপুকুর থানার সদরপুরের নিজের বাড়িতে অগ্নিদগ্ধ হন কুশ ঘোষ, তাঁর স্ত্রী কাজল ও শিশুকন্যা সায়ন্তিকা। সোমবারই মৃত্যু হয়েছিল মা ও মেয়ের। মঙ্গলবার আর জি কর হাসপাতালে মৃত্যু হয় কুশবাবুর (৩৮)।

Advertisement

তদন্তকারীদের একাংশের দাবি, পারিবারিক অশান্তির জেরে গায়ে আগুন দিয়ে আত্মঘাতী হন কাজলদেবী। তিনি নিজের গায়ে কেরোসিন ছেটানোর সময় সারা ঘরে এমনকী বিছানাতেও কেরোসিন ছড়িয়ে পড়ে। তার জেরেই আগুন ছড়ায়। বিছানায় আগুন লেগে মৃত্যু হয় সায়ন্তিকার। মেয়ে এবং স্ত্রীকে বাঁচাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হন কুশবাবু। তবে কাজলদেবীর মা কণিকাদেবী সোমবারই খুনের অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। পুলিশ জানিয়েছে সেই সম্ভাবনাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযোগের ভিত্তিতে কুশের দাদা লব এবং তাঁর মা অনিমা ঘোষকে সোমবার রাতেই আটক করেছিল পুলিশ। এ দিন তাঁদের গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার রাতে ভাইকে বাঁচাতে গিয়ে অগ্নিদগ্ধ হন লব। পুলিশকে লব জানিয়েছেন, ভাইয়ের চিৎকার শুনে এবং তাঁদের ঘর থেকে কালো ধোঁয়া বেরোতে দেখে তিনি ছুটে গিয়েছিলেন। কী ভাবে আগুন লাগল, তা নিয়ে পুলিশ আগেই তদন্ত শুরু করেছিল। তদন্তকারীরা জানান, বাড়ির অন্যদের সঙ্গে কথা বলা হচ্ছে এবং ঘটনাস্থলও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে এখনই এ নিয়ে নির্দিষ্ট ভাবে কিছু বলতে নারাজ পুলিশকর্তারা। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, “প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে এটা আত্মহত্যার ঘটনা। তবে খুনের অভিযোগেরও তদন্ত চলছে”।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন