প্রতীকী ছবি।
চেঁচামেচি শুনে প্রতিবেশীরা এসে দেখেছিলেন, জ্বলন্ত অবস্থায় ছটফট করছেন অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূ। ঘটনার পাঁচ দিনের মাথায় সোমবার রাতে হাসপাতালে মৃত্যু হল ওই তরুণীর।
গত ৩১ মে, বরাহনগরের কামারপাড়ার ঘটনা। পুলিশ জানায়, অম্বিকা দাস (২২) নামে ওই তরুণীর পরিজনেদের অভিযোগের ভিত্তিতে স্বামী সমর দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে। অভিযোগ, স্ত্রীকে গর্ভপাত করানোর জন্য চাপ দিচ্ছিল সমীর। তা নিয়ে দু’জনের অশান্তি চলছিল। অম্বিকার এক আত্মীয়া দেবিকা দাসের অভিযোগ, ‘‘স্বামীর প্রতি ভালবাসা কতটা, তার প্রমাণ চেয়ে অম্বিকার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় সমীরই।’’ যদিও তদন্তকারীদের দাবি, তাঁদের কাছে এমন অভিযোগ আসেনি। বরং পণের জন্য চাপ, মারধর এবং আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগ দায়ের হয়েছে। মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা অম্বিকার সঙ্গে বছর দেড়েক আগে বিয়ে হয় সমরের। সিঁথির মোড়ে তার অটো চালানোর সূত্রে ওই দম্পতি কামারপাড়ায় থাকছিলেন।
স্থানীয়েরা জানান, গত বৃহস্পতিবার তাঁরা গিয়ে দেখেন অগ্নিদগ্ধ অবস্থায় ছটফট করছেন অম্বিকা। সমর দাবি করে, স্টোভ ফেটে আগুন লেগেছে। প্রতিবেশীরাই অম্বিকাকে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।