সঙ্কল্পের পড়া নিয়ে নতুন নির্দেশ কোর্টের

বালিগঞ্জের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সঙ্কল্পকে লেখাপড়া করতে দিচ্ছেন না এই অভিযোগ তুলে তার বাবা দেবাশিস দাস হাইকোর্টে মামলা করেন। মামলার আবেদনে বলা হয়, ডিসলেক্সিয়া নিয়েই সঙ্কল্প দশম শ্রেণির পরীক্ষা পাশ করেছিল। ওই পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ডে লেখাও ছিল যে, সঙ্কল্প ডিসলেক্সিক।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১২ ডিসেম্বর ২০১৭ ০৬:২০
Share:

সঙ্কল্প দাস

ডিসলেক্সিক পড়ুয়া সঙ্কল্প দাসকে কোন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সঙ্গীত ও হোম সায়েন্স পড়াতে চান, সিবিএসই-র আইনজীবীকে তা জানানোর নির্দেশ দিল কোর্ট। সোমবার বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী সঙ্কল্পের বাবার আইনজীবী সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে ওই নির্দেশ দেন।

Advertisement

বালিগঞ্জের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সঙ্কল্পকে লেখাপড়া করতে দিচ্ছেন না এই অভিযোগ তুলে তার বাবা দেবাশিস দাস হাইকোর্টে মামলা করেন। মামলার আবেদনে বলা হয়, ডিসলেক্সিয়া নিয়েই সঙ্কল্প দশম শ্রেণির পরীক্ষা পাশ করেছিল। ওই পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ডে
লেখাও ছিল যে, সঙ্কল্প ডিসলেক্সিক। তার জন্য বিশেষ বিষয়ে পরীক্ষার ব্যবস্থা করেছিলেন সিবিএসই কর্তৃপক্ষ। কিন্তু একাদশ শ্রেণিতে বিশেষ বিষয়ে পরীক্ষায় বসতে দিতে চাইছেন না স্কুল কর্তৃপক্ষ। মামলার আবেদনে সঙ্কল্পের বাবা এও জানান, তিনি স্কুল কর্তৃপক্ষের কাছে লিখিত জানিয়েছেন যে, ওই স্কুলে বিশেষ বিষয় নিয়ে পড়ানোর ব্যবস্থা নেই। তাই তিনি ঠিক করেছেন, তাঁর ছেলের জন্য অন্য কোথাও বিশেষ বিষয়ে পড়ানোর ব্যবস্থা করবেন নিজের খরচে। তাঁর ছেলেকে দ্বাদশ শ্রেণির পরীক্ষায় বসার সুযোগ দিক স্কুল। সেই আবেদন না মেনে স্কুল কর্তৃপক্ষ রেজিস্ট্রার থেকে সঙ্কল্পের নাম কেটে দিয়েছিলেন।

বিচারপতি চক্রবর্তী দেবাশিসবাবুর আর্জি মেনে স্কুল কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন, অবিলম্বে পুনরায় ভর্তি করাতে হবে ওই ছাত্রকে। তাকে তার পছন্দের বিষয় নিয়ে পড়ার সুযোগ দিতে হবে। সেই নির্দেশ মেনে গত ৪ ডিসেম্বর ফের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে ভর্তি হয় সঙ্কল্প। বিচারপতি এ দিন ফের মামলাটি তালিকায় রাখতে নির্দেশ দিয়েছিলেন। সঙ্কল্পের বাবার আইনজীবী আদালতে হাজির থাকলেও সিবিএসই এবং স্কুলের আইনজীবীরা আদালতে হাজির ছিলেন না। সেই কারণে মামলাটির কোনও শুনানি হয়নি। আইনজীবী সুব্রতবাবু জানান, তাঁর মক্কেল
দু’টি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে কথা বলেছেন। ওই দুই প্রতিষ্ঠান থেকে সঙ্গীত ও হোম সায়েন্স নিয়ে প়ড়ে সঙ্কল্প যে সার্টিফিকেট পাবে, সিবিএসই বোর্ড যেন সেই শংসাপত্রকে অনুমোদন দেয়। এ দিন সুব্রতবাবুর কথা শুনে বিচারপতি জানিয়ে দেন, তিনি আগামী বৃহস্পতিবার মামলাটি তালিকায় রাখতে নির্দেশ দিচ্ছেন। আইনজীবী যেন তার মধ্যে সিবিএসই ও স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেন, কোন কোন প্রতিষ্ঠানে সঙ্গীত ও হোম সায়েন্স নিয়ে লেখাপড়া করবে ওই ছাত্র।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন