কলকাতায় পদ পূরণে বিজ্ঞাপন এ সপ্তাহেই

বৈঠকের পরে সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) স্বাগত সেন জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন মোট ২২০টি শিক্ষক-পদ খালি। দু’-এক দিনের মধ্যেই এই বিষয়ে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হবে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৭ জুন ২০১৭ ১৬:০০
Share:

ফাইল চিত্র।

অনুমোদন সত্ত্বেও শিক্ষক নিয়োগ না-হওয়ায় ১ জুনের প্রশাসনিক বৈঠকে পড়ুয়া-প্রতিনিধিদের সামনেই উপাচার্যকে তিরস্কার করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ছ’দিনের মাথায়, মঙ্গলবার শিক্ষক-পদ পূরণে জরুরি বৈঠকে বসল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট।

Advertisement

বৈঠকের পরে সহ-উপাচার্য (শিক্ষা) স্বাগত সেন জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন মোট ২২০টি শিক্ষক-পদ খালি। দু’-এক দিনের মধ্যেই এই বিষয়ে বিজ্ঞাপন প্রকাশ করা হবে। তার ১৫ দিনের মধ্যে জমা নেওয়া হবে আবেদনপত্র। এর পরে শুরু হবে ইন্টারভিউ পর্ব।

তারকেশ্বরের প্রশাসনিক বৈঠকে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছাত্রী শিক্ষক-পদ খালি পড়ে থাকার কথা তুলেছিলেন। মুখ্যমন্ত্রী তার পরেই উপাচার্যকে বলেন, ‘‘সরকারের দিক থেকে ছাড়পত্র পাওয়ার পরেও আপনি নিয়োগ করেননি কেন? দয়া করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নিয়োগ করুন। এর জন্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির সঙ্গে কথা বলার কোনও প্রয়োজন নেই।’’ এখানেই থামেননি মুখ্যমন্ত্রী। জানিয়েছিলেন, তিনি শুনেছেন, উপাচার্য ভয় পেয়ে গিয়ে রাতে কো-অর্ডিনেশন কমিটির সঙ্গে আলোচনায় বসে যাচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্য, ‘‘এর ফলে কিছু হচ্ছে না। আপনি কাকে নেবেন বা নেবেন না, সেটা বলে দেওয়ার ওরা কে! এটা একমাত্র আপনার বিষয়। ওরা কি আপনাকে জ্ঞান দেবে?’’

Advertisement

তার পরেই এ দিন শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে সিন্ডিকেটের বৈঠক ডাকা হয়। স্বাগতবাবু বলেন, ‘‘যত দ্রুত সম্ভব খালি পদ পূরণ করা হবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন