প্রতীকী ছবি।
বিভিন্ন বোর্ডের পরীক্ষা চলাকালীন তারস্বরে এলাকায় মাইক বাজানোর অভিযোগ উঠেছে বারবার। শহরের উত্তর থেকে দক্ষিণ, এই সমস্যায় নাজেহাল হতে হয়েছে পরীক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের। বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও বন্ধ করা যাচ্ছিল না সেই মাইকের দাপট।
সম্প্রতি বারাসতের রবীন্দ্র ভবনের প্রশাসনিক বৈঠকেও মুখ্যমন্ত্রী পরীক্ষার সময়ে মাইক বাজানো নিয়ে সবাইকে সচেতন হওয়ার কথা বলেন। এর পরেই নড়ে বসল প্রশাসন। পুলিশকে নিয়ে বিমানবন্দর থেকে বারাসত পর্যন্ত মধ্যমগ্রাম, বারাসতের বিভিন্ন এলাকায় হানা দিয়ে মাইক, চোঙা বাজেয়াপ্ত করল উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন।
কয়েক দিন ধরে মহকুমাশাসকের নেতৃত্বে মধ্যমগ্রাম চৌমাথা, সোদপুর, বাদু, এবং ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে বিমানবন্দর থেকে বারাসত পর্যন্ত হানা দেওয়া হয়। দেখা যায়, বাতিস্তম্ভে চোঙা বেঁধে তারস্বরে বাজছে মাইক। রক্তদান শিবির, বিভিন্ন মেলা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং সে সবের আগাম প্রচারও চলছে। এর পরেই সেগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়। প্রশাসন সূত্রের খবর, এমনিতেই চোঙা বাজানো নিষিদ্ধ। তা ছাড়া শব্দযন্ত্র বাজানোর ক্ষেত্রে মালিক অর্থাৎ ডেকরেটর সংস্থাকে আগে প্রশাসনের অনুমতি নিতে হয়। কিন্তু তাঁরা নিয়ম না মানায় শব্দবিধি ভঙ্গ আইনে মামলা হয়েছে ওই ডেকরেটর সংস্থাগুলির বিরুদ্ধে।
বারাসতের মহকুমাশাসক পীযূষকান্তি দাস মঙ্গলবার বলেন, ‘‘মাইক বাজানোর আগাম অনুমতি নিলেও, কোনও সময়েই চোঙা বাজানো যায় না, এটাই নিয়ম। বিধি না মেনে সে সব বাজছিল। হানা দিয়ে ১৭টি চোঙা বাজেয়াপ্ত করেছি। মালিকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এমন নজরদারি চলবে।’’ তিনি আরও জানান, নিয়ম অনুযায়ী ঘেরা জায়গায় সাউন্ড বক্স বাজাতে হয়।
কিন্তু উত্তর শহরতলির দমদম থেকে মধ্যমগ্রাম, বারাসতে সাউন্ড বক্স বাজানোর বালাই নেই বলেই অভিযোগ। দূর পর্যন্ত আওয়াজ পৌঁছতে নিষিদ্ধ চোঙাই বাঁধা হয়। ফলে শব্দে জেরবার হন এলাকাবাসী।