Fireworks

বাজি ফাটাতে বারণ করায় ক্যানসার রোগীকে লাথি!

পুকুরে যে ভাসান হচ্ছিল, সেখানকার বাজির আগুনের ফুলকি আচমকাই সন্দীপবাবুর বাড়ির প্যান্ডেলে এসে পড়েআগুন ধরে যায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১০ নভেম্বর ২০১৮ ১৬:২১
Share:

ক্যানসার আক্রান্ত সন্দীপ চট্টোপাধ্যায়।—নিজস্ব চিত্র।

শব্দবাজি ফাটানোর প্রতিবাদ করায় রেহাই পেলেন না ক্যানসারে আক্রান্ত এক রোগী।অভিযোগ, একদল যুবক বাড়িতে ঢুকে তাণ্ডব চালানোর পর, তাঁকে খাট থেকে লাথি মেরে ফেলে দেয়। এমনকি, মারা হয়েছে তাঁর দুই ছেলেকেও। এই তাণ্ডবের পরেও মাঝরাত পর্যন্ত বাঁশদ্রোণী এলাকার প্রফুল্লপার্কে শব্দবাজির তাণ্ডব চালিয়েছেন অভিযুক্ত ওই যুবকেরা।

Advertisement

শুক্রবার রাত সাড়ে ১১টা। বাঁশদ্রোণীর প্রফুল্লপার্কের পুকুরে কালীপুজোর ভাসান চলছিল। সেখানে একদল যুবক দেদার বাজি ফাটাচ্ছিলেন। বাজির আওয়াজে আশপাশের বাড়ির লোকেরা অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিলেন।

সন্দীপ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়ি ওই পুকুরের পাশেই। তিনি ক্যানসারে আক্রান্ত। তাঁর বাড়িতেও কালীপুজো হয়েছিল। প্রতিমা ভাসান হয়ে গেলেও, প্যান্ডেল খোলা হয়নি। পুকুরে যে ভাসান হচ্ছিল, সেখানকার বাজির আগুনের ফুলকি আচমকাই সন্দীপবাবুর বাড়ির প্যান্ডেলে এসে পড়ে আগুন ধরে যায়।পরিবারের সদস্যরা কোনও রকমে জল ঢেলে আগুন নিভিয়ে দেন। তার পর ঘটনার প্রতিবাদ করেন। সন্দীপবাবু এবং তার বড় ছেলে শুভম ওই যুবকদের বাজি ফাটাতে নিষেধ করতেই রেগে যান ওই যুবকেরা। ওই পরিবারের দাবি অনুযায়ীওই যুবকেরাতাদের বলেন, “বেশ করেছি। দেখবি।”

Advertisement

স্ত্রীর সঙ্গে সন্দীপ চট্টোপাধ্যায়।

আরও পড়ুন: বোনের শ্লীলতাহানী, প্রতিবাদ করে প্রহৃত দাদা-বৌদি​

আরও পড়ুন: ৯ বছরের বালিকাকে যৌন নিগ্রহে ধৃত ৮০ বছরের দাদু​

এর পরেই তাঁরা ঘরে ঢুকে আসে। লাথি মেরে ফেলে দেওয়া হয় সন্দীপবাবুকে। তাঁর স্ত্রীর অভিযোগ, “এখনও শ্বশুরমশাই বেঁচে রয়েছেন। আশি বছর বয়স। শব্দবাজির তাণ্ডবে তিনি থাকতে পারছিলেন না। আমার স্বামী ক্যানসারে আক্রান্ত। ওরা গালিগালাজ থেকে শুরু করে মারধর করতে ছাড়ল না!” তিনি আরও বলেন, “আমার বড় ছেলে শুভম বাধা দিতে গেলে, তাকেও মারা হয়। পাড়ার লোকজন চলে আসায় আমরা বেঁচে গিয়েছি। প্রত্যেকেই মত্ত অবস্থায় ছিল। এখন ভয়ে আতঙ্কে রয়েছি। থানায় অভিযোগও জানিয়েছি।”

ওই যুবকদের দলে এক সিভিক ভলান্টিয়ারও ছিলেন বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। ওই ঘটনার পর থানায় অভিযোগ দায়ের হয়েছে। কিন্তু এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের চিহ্নিতকরণের চেষ্টা চলছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন