দুমড়ে গিয়েছে দু’টি গাড়িই। (বাঁ দিকে) ধাক্কা খাওয়ার পরে। (ডান দিকে) ধাক্কা মারার পরে। ছবি: নিজস্ব চিত্র, গ্রাফিক্স: প্রবাল ধর।
পথ-দুর্ঘটনা ঠেকাতে ফেস্টুন ও হোর্ডিংয়ে জ্বলজ্বল করছে ‘সেফ ড্রাইভ, সেভ লাইফ’! কিন্তু চালকেরা সচেতন না হলে যে দুর্ঘটনা থামবে না, ফের তার প্রমাণ মিলল। বেপরোয়া গাড়ি চালানোয় ফের দুর্ঘটনার শিরোনামে মা উ়ড়ালপুল।
পুলিশ জানায়, বুধবার সকাল ৯টা নাগাদ সায়েন্স সিটির দিক থেকে পার্ক সার্কাসগামী একটি
গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে তপসিয়ার কাছে মা উড়ালপুলের ডিভাইডার টপকে পাশের লেনে উঠে যায়। তখন উল্টো দিক থেকে আসছিল আর একটি
গাড়ি। গতি সামলাতে না পেরে প্রথম গাড়িটি সেটিকে সজোরে ধাক্কা মারে। জখম হন দুই চালক-সহ তিন জন। তাঁদের মধ্যে দুর্ঘটনা ঘটানো গাড়ির চালক ও তাঁর এক আত্মীয় আশঙ্কাজনক অবস্থায় ন্যাশনাল মেডিক্যালে ভর্তি।
পুলিশ সূত্রের খবর, যে গাড়িটি দুর্ঘটনা ঘটিয়েছে, তাতে নীল আলো লাগানো ছিল। সেটি ব্যবহার করেন সল্টলেকের ভূমি ট্রাইব্যুনালের বিচারক খালেন্দ্র মোচারি। তিনি দক্ষিণ কলকাতার এক আবাসনে থাকেন। তাঁকে সেখান থেকে তুলতে চালক রমজান মোল্লা রাজারহাট থেকে আসছিলেন। অন্য দিকে দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ির চালক, পেশায় সফটওয়্যার ই়ঞ্জিনিয়ার মুস্তাক আহমেদ পর্ণশ্রীর বাড়ি থেকে যাচ্ছিলেন রাজারহাটের অফিসে। মুস্তাকের কথায়, ‘‘ডিভাইডার টপকে ঝড়ের গতিতে এসে গাড়িটি আমার গাড়িকে ধাক্কা মারে। সিট বেল্ট বাঁধা থাকায় বরাতজোরে বেঁচে গিয়েছি।’’ কড়েয়া থানার পুলিশ গাড়িটিকে আটক করেছে। বেপরোয়া গা়ড়ি চালানোর অভিযোগে মামলা রুজু হয়েছে চালকের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: বৃষ্টির স্বস্তি মরীচিকা, চলবে ভ্যাপসা গরম
পুলিশ সূত্রে খবর, ২০১৫ সালের ৮ অক্টোবর মা উড়ালপুল হয়। তার পর থেকেই কার্যত দুর্ঘটনার মিছিল চলছে মা উড়ালপুলে। এখনও পর্যন্ত দুর্ঘটনার সংখ্যা ২৫। একাধিক দুর্ঘটনার জন্য বিশেষজ্ঞরা উড়ালপুলের নকশার ত্রুটিকে দায়ী করেছিলেন। যদিও পুলিশ বলছে, এ দিনের দুর্ঘটনার পিছনে রয়েছে চালকের অসচেতনতাই।