নোট-কাণ্ডের জেরে এ বার ধাক্কা খেতে চলেছে গাড়ির গতি বেঁধে দেওয়ার কাজও। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রকের একটি নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, বাণিজ্যিক গাড়িতে গতি বেঁধে দেওয়ার যন্ত্র (স্পিড গভর্নর) বসানোর সময়সীমা বাড়িয়ে ৩১ জানুয়ারি করা হচ্ছে।
২০১৬-র ফেব্রুয়ারি থেকে সারা দেশে বাণিজ্যিক গাড়ির গতি বেঁধে দেওয়ার কাজ শুরু করে কেন্দ্রীয় সড়ক ও পরিবহণ মন্ত্রক। গত ১ এপ্রিল থেকে বাজারে আসা সমস্ত নতুন গাড়িতে এই যন্ত্র লাগানো রয়েছে। ঠিক ছিল, গত ৩১ অক্টোবরের মধ্যে সমস্ত পুরনো গাড়িতে ওই যন্ত্র লাগানো হবে। তার পরেই ১ নভেম্বর থেকে স্পিড গভর্নর লাগানো হয়েছে কি না, নজরদারি করবে সব রাজ্যের পুলিশ ও পরিবহণ দফতর। এ রাজ্যেও পরিবহণ দফতর পুলিশের সঙ্গে যৌথ দল তৈরির সিদ্ধান্ত নেয়।
ইতিমধ্যে ৮ নভেম্বর ৫০০ এবং ১০০০ টাকার পুরনো নোট বাতিল হওয়ায় পরিস্থিতি পাল্টে যায়। ট্রাক এবং বাসের মালিকেরা বারবার রাজ্য পরিবহণ দফতরে ওই যন্ত্র বসানোর সময়সীমা পিছোনোর দাবি জানান। বাণিজ্যিক গাড়ির মালিকদের বক্তব্য, নোট-কাণ্ডের জেরে ব্যবসায় মন্দা চলাকালীন ওই যন্ত্র বসানোর আর্থিক ঝক্কি তাঁরা নিতে পারবেন না।
এর পরেই রাজ্য সরকারের তরফে একটি চিঠিতে কেন্দ্রকে এই পরিস্থিতি সম্পর্কে জানানো হয়। অন্য কয়েকটি রাজ্য থেকেও একই কথা জানিয়ে সময়সীমা বাড়ানোর অনুরোধ জানানো হয় কেন্দ্রের কাছে। রাজ্যের এক পরিবহণ কর্তা বলেন, ‘‘রাজ্যগুলি থেকে পরিস্থিতি জানার পরেই স্পিড গভর্নর বসানোর সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র।’’ তিনি জানান, ৩১ জানুয়ারি সময়সীমা ধার্য হলেও তখনকার পরিস্থিতি যাচাই করেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলে কেন্দ্র জানিয়েছে।
বাণিজ্যিক গাড়ির গতি বেঁধে দেওয়ার তালিকায় সবচেয়ে বেশি খাঁড়া নামছে স্কুলবাসের উপরে। সাধারণ বাসের ক্ষেত্রে গতির মাত্রা প্রতি ঘণ্টায় ৮০ কিলোমিটার হলেও স্কুলবাসের ক্ষেত্রে তা ঘণ্টায় ৬০ কিমি। ট্যাক্সি, ছোট বাস, লাক্সারি ট্যাক্সি মতো গাড়িগুলি প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ৮০ কিমি বেগে চলতে পারবে। তবে বাঁধনের বাইরে থাকছে অ্যাম্বুল্যান্স বা দমকল এবং পুলিশের গাড়ি।