রেললাইনের ধার থেকে উদ্ধার হল এক ব্যক্তির মৃতদেহ। মঙ্গলবার সকালে দক্ষিণ দমদম এলাকার ঘটনা।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ব্যক্তির নাম সুবীর মিস্ত্রি (৪১)। তাঁর স্ত্রী ঝুমাদেবীর অভিযোগ, স্বামীর চাকরি চলে যাওয়ার জন্য তিনি মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, সুবীরবাবু আত্মহত্যা করেছেন।
ঝুমাদেবী জানিয়েছেন, সুবীরবাবু দক্ষিণ দমদম পুরসভায় রাস্তা ঝাঁট দেওয়ার কাজ করতেন। পুরসভার অধীনেই তিনি অস্থায়ী কর্মী ছিলেন। কাজ করলে তবে টাকা পেতেন। ৩০ মে থেকে ১০ জুন পর্যন্ত তিনি শারীরিক অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। এ কারণে পুরসভার কাজ করতে পারেননি বলে তাঁকে কাজে আসতে বারণ করে দেওয়া হয়। এর ফলে তিনি মানসিক ভাবে ভেঙে পড়েছিলেন।
সুবীরবাবুর স্ত্রীর বয়ান অনুযায়ী, বিষয়টি নিয়ে তিনি সোমবার পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (জঞ্জাল ও নিকাশি) দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করেন। ঝুমাদেবীর অভিযোগ, ‘‘দেবাশিসবাবু আমার সঙ্গে খুব খারাপ ব্যবহার করেন।’’ যদিও দেবাশিসবাবু জানান, সুবীরবাবু এবং ঝুমাদেবী সোমবার রাস্তায় তাঁর সঙ্গে দেখা করেন। তখন তিনি মঙ্গলবার সুবীরবাবুকে তাঁর সঙ্গে পুরসভায় এসে দেখা করতে বলেন।
ঝুমাদেবীর বক্তব্য, তিনি অন্যের বাড়িতে রান্নার কাজ করেন। ওই দিন দেবাশিসবাবুর সঙ্গে কথা বলে ফেরার পর তিনি কাজে বেরিয়ে যান। রাতে ফিরে দেখেন, সুবীরবাবু ঘরে নেই। রাত্রি দু’টো পর্যন্ত তাঁর কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার সুবীরবাবুর দেহ রেললাইনের ধারে পড়ে থাকতে দেখে দমদম জিআরপি থেকে ঝুমাদেবীকে ফোন করে জানানো হয়।
আরও পড়ুন
কাটলে রক্ত বেরোচ্ছে, অথচ মাছ তাজা নয়, সবই রাসায়নিকের কারসাজি!