এক বছরেই বিকল বহু সিসি ক্যামেরা

গাড়িতে নজরদারির পাশাপাশি সে সব ঘটনার তদন্তে সুবিধা হবে বলে উত্তর ২৪ পরগনার গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে লাগানো হয়েছিল ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। কিন্তু বছর না ঘুরতেই সেগুলির বেশ কিছু খারাপ হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭ ০০:৪২
Share:

দুর্ঘটনা তো ছিলই। সঙ্গে ছিল রাস্তায় খুনখারাপি ও অন্য অপরাধ। গাড়িতে নজরদারির পাশাপাশি সে সব ঘটনার তদন্তে সুবিধা হবে বলে উত্তর ২৪ পরগনার গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতে লাগানো হয়েছিল ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা। কিন্তু বছর না ঘুরতেই সেগুলির বেশ কিছু খারাপ হয়ে গিয়েছে। কিছু মেরামত ও পাল্টানো হলেও সব এখনও ঠিক মতো কাজ করছে না বলে পুলিশের রিপোর্টেই জানানো হয়েছে। রিপোর্ট বলছে, ঝড়, শীত ও বর্ষায় সিসি ক্যামেরার উপরে বেশ চাপ পড়ে। কারণ সেগুলিতে ২৪ ঘণ্টাই রেকর্ডিং হয়। এর জন্য নজরদারিতেও সমস্যা হচ্ছে বলে জানানো হয়েছে।

Advertisement

বছর তিনেক আগে মধ্যমগ্রাম চৌরাস্তার কাছে মোটরবাইকে চেপে এসে দু’জনকে খুন করে দুষ্কৃতীরা। গুরুত্বপূর্ণ মোড়ে সিসি ক্যামেরা কেন নেই, সে প্রশ্ন ওঠে তদন্তে। এর পরে বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষদস্তিদার ও খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের বিধায়ক তহবিলের টাকায় সিসি ক্যামেরা বসানো হয়। পুলিশ, ট্র্যাফিক ও জেলা প্রশাসন উদ্যোগী হয়েও কিছু জায়গায় সিসি ক্যামেরা বসায়। কাছারি মাঠ, জেলা প্রশাসনিক ভবনের মতো অপরাধপ্রবণ এলাকাতেও বসানো হয় ক্যামেরা।

উত্তর ২৪ পরগনা পুলিশের অধীনে মোট ২২টি থানা রয়েছে। জেলা পুলিশ ও ট্র্যাফিক সূত্রে খবর, পাঁচশো-র বেশি সিসি ক্যামেরা লাগানো হয়েছিল। এয়ারপোর্ট, মধ্যমগ্রাম, বারাসতের ডাকবাংলো, চাঁপাডালি, কলোনি মোড় ছাড়াও যশোহর রোড ধরে হাবরা, বনগাঁর গুরুত্বপূর্ণ মোড়গুলিতেও লাগানো হয় ক্যামেরা। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কিছু সিসি ক্যামেরা খারাপ হয়েছিল। কিছু পাল্টানো হয়েছে।’’ যেগুলি এখনও খারাপ, সেগুলি ঠিক করতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানান তিনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement