সিসিটিভি-বিতর্ক এ বার বিনোদন পার্কে

ফের মহিলাদের পোশাক পরিবর্তনের ঘরে সিসিটিভি ক্যামেরা রাখার অভিযোগ। এ বার বিতর্কে কলকাতার এক বেসরকারি বিনোদন পার্ক। রবিবার বিকেলে এ নিয়ে গোলমাল বাধে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকার ওই পার্কে। ঘটনার জেরে পার্কে বেড়াতে আসা কয়েক জনের সঙ্গে ধস্তাধস্তির অভিযোগও উঠেছে সেখানকার কয়েক জন বাউন্সারের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, পার্কের ম্যানেজার ও দুই বাউন্সারকে ঘটনায় গ্রেফতারও করা হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৫ ০২:০০
Share:

ফের মহিলাদের পোশাক পরিবর্তনের ঘরে সিসিটিভি ক্যামেরা রাখার অভিযোগ। এ বার বিতর্কে কলকাতার এক বেসরকারি বিনোদন পার্ক।

Advertisement

রবিবার বিকেলে এ নিয়ে গোলমাল বাধে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকার ওই পার্কে। ঘটনার জেরে পার্কে বেড়াতে আসা কয়েক জনের সঙ্গে ধস্তাধস্তির অভিযোগও উঠেছে সেখানকার কয়েক জন বাউন্সারের বিরুদ্ধে। পুলিশ জানিয়েছে, পার্কের ম্যানেজার ও দুই বাউন্সারকে ঘটনায় গ্রেফতারও করা হয়েছে।

সম্প্রতি গোয়ার এক বস্ত্র বিপণিতে একই ঘটনার শিকার হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি। পোশাক বদলানোর সময়ে ট্রায়াল রুমে ক্যামেরার নজরদারি দেখে ঘটনাটি তাঁর স্বামীকে জানান স্মৃতি। পরে পুলিশ বিপণিটি বন্ধ করে দেয়। গ্রেফতার করা তার ম্যানেজারকে। দেশজুড়ে বিষয়টি নিয়ে আলোড়ন হয়। কলকাতা-সহ সব শহরে এই ধরনের ঘটনা এড়াতে পুলিশি নজরদারিও চালানোও হয়। তার পরেও এই পার্কটিতে কী ভাবে এমন ঘটল, তার কোনও ব্যাখ্যা দিতে পারেননি পুলিশকর্তারা। স্মৃতি ইরানির অভিযোগের পরে গোয়ার বিপণিটি সিল করে দেওয়া হলেও এ দিন ওই বিনোদন পার্কটি কেন বন্ধ করা হল না, তারও কোনও ব্যাখ্যা মেলেনি পুলিশের কাছে।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, উত্তর ২৪ পরগনার যশোহর রোড এলাকার বাসিন্দা মনোজিৎ দাস নামে এক ব্যাক্তির অভিযোগ, ‘অ্যাকোয়াটিকা’ নামে ওই বিনোদন পার্কটিতে মহিলাদের পোশাক পরিবর্তনের ঘরে ক্যামেরা বসানো রয়েছে। মনোজিৎবাবু জানান, এ দিন দুপুরে সপরিবার ওই পার্কে যান তিনি। পরিবারের মহিলারা জল থেকে উঠে পোশাক বদলাতে গিয়ে গিয়ে দেখেন, সেখানে সিসিটিভি ক্যামেরা রয়েছে। ঘর থেকে বেরিয়ে এসে তাঁরাই মনোজিৎবাবুকে ঘটনাটি জানান।

এ নিয়ে ক্লাব কর্তৃপক্ষের সঙ্গে ওই পরিবারের বচসা বেধে যায়। পরে থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করেন মনোজিৎবাবু। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে অ্যাকোয়াটিকার ওই ঘরটিতে তল্লাশি চালায় পুলিশ। এক তদন্তকারী অফিসারের কথায়, ‘‘আমরা তল্লাশি চালিয়ে তিনটি সিসিটিভি ক্যামেরা উদ্ধার করি।’’ তার পরেই পার্কের ম্যানেজার কিষাণ শঙ্করকে গ্রেফতার করা হয়।

পুলিশের বক্তব্য, তদন্তকারীদের কাছে কিষাণ দাবি করেছেন, ওই ঘরে বসানো সিসিটিভির ক্যামেরাটি অকেজো। তাতে কোনও ছবি ওঠে না বলেই তাঁর দাবি। তদন্তকারীরা অবশ্য ক্যামেরাগুলি পরীক্ষা করে কিষাণের বক্তব্যের সত্যতা খতিয়ে দেখছেন। প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা জেনেছেন, কিষাণের দাবি ঠিক নয়। কারণ, একটি ক্যামেরা কাজ করছিল বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। ওই ক্যামেরার লেন্স ছিল মহিলাদের পোশাক বদলের জায়গার মুখোমুখি।

দক্ষিণ ২৪ পরগনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পূর্ব) অরিজিৎ সিংহ জানান, ক্যামেরাগুলি ‘ডিজিটাল ফরেন্সিক’ পরীক্ষায় পাঠানো হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন