Dakshineswar Temple

দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের ঘাটে বন্ধ ছটপুজো

প্রতি বছরই ছটপুজোয় দক্ষিণেশ্বরে লক্ষাধিক পুণ্যার্থীর সমাগম হয়। দুপুর ২টো থেকে জমায়েত হয়ে পুজো চলে সূর্যাস্ত পর্যন্ত।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০২০ ০৩:২৮
Share:

ফাইল চিত্র।

তর্পণের মতো এ বছর দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের ঘাটে বন্ধ থাকছে ছটপুজোও। করোনা পরিস্থিতিতে দূরত্ব-বিধি লঙ্ঘিত হতে পারে, এমন আশঙ্কার কথা মাথায় রেখেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মন্দির কর্তৃপক্ষ। আগামী ২০ নভেম্বর, শুক্রবার ছটপুজোর দিনে যাতে দক্ষিণেশ্বর মন্দিরে দর্শনার্থীদের প্রবেশ বন্ধ রাখা হয়, তার জন্য মন্দির কর্তৃপক্ষকে প্রস্তাব দেয় পুলিশ প্রশাসন।

Advertisement

এর আগে গত ১৭ সেপ্টেম্বর মহালয়ার দিনেও মন্দিরে পুণ্যার্থীদের প্রবেশ বন্ধ রাখার কথা বলেছিল পুলিশ। সেই মতো মহালয়ার সকালে সাধারণের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল দক্ষিণেশ্বর মন্দির।

মন্দির কর্তৃপক্ষ জানান, ছটপুজোর দিন বেলা সাড়ে ১২টায় ভবতারিণীকে ভোগ নিবেদন করে বন্ধ করে দেওয়া হবে মন্দিরের দরজা। সেই দিন বিকেলে আর তা খোলা হবে না। পরের দিন অর্থাৎ শনিবার সকাল ৮টায় পুনরায় মন্দিরের সিংহদুয়ার খুলে দেওয়া হবে জনসাধারণের জন্য। দক্ষিণেশ্বর মন্দিরের অছি ও সম্পাদক কুশল চৌধুরী বলেন, ‘‘পুলিশ-প্রশাসনের প্রস্তাব মেনেই অতিমারি পরিস্থিতিতে এমন সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। আশা করব সকলে সহযোগিতা করবেন।’’

Advertisement

আরও পডুন: ট্রেন বাড়লেও সময় বাড়ছে না মেট্রোয়

আরও পডুন: জেলে ৩৯ বছর, পঁচাত্তরের বৃদ্ধ এখনও ‘বিচারাধীন’

প্রতি বছরই ছটপুজোয় দক্ষিণেশ্বরে লক্ষাধিক পুণ্যার্থীর সমাগম হয়। দুপুর ২টো থেকে জমায়েত হয়ে পুজো চলে সূর্যাস্ত পর্যন্ত। এর পরে ফের ভোর ৪টেয় মন্দিরের দরজা খুলতেই পুণ্যার্থীরা সূর্যোদয় পর্যন্ত গঙ্গার ঘাটে পুজো করতেন। এর ফলে চাঁদনি ঘাট (কেন্দ্রীয় ঘাট), পঞ্চবটী ঘাট, শ্রীমায়ের ঘাট বা বকুলতলার ঘাট-সহ গোটা মন্দির চত্বরেই তিল ধারণের জায়গা থাকত না। দূরদূরান্ত থেকে ছোট লরি করেও মন্দির চত্বরে এসে ভিড় জমাতেন পুণ্যার্থীরা। সেই ভিড় সামলাতে অতিরিক্ত পুলিশও মোতায়েন করতে হত।

তবে এ বছর সংক্রমণ রুখতে মহালয়া, ছটপুজোয় বিধিনিষেধ জারি করার পাশাপাশি কালীপুজোর রাতেও বেশ কিছু নিয়মের কড়াকড়ি করা হয়েছে। এ বারে সারা রাত পুজো দেওয়া গেলেও মন্দির চত্বরের ভিতরে কোথাও বসে ভবতারিণীর পুজো দেখার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। বিশেষ আলো দিয়েও সাজানো হবে না মন্দির চত্বর। তার বদলে যে বাহারি আলো মন্দির ও সংলগ্ন জায়গায় লাগানো হয়েছে, শুধু তা-ই জ্বলবে। মন্দির চত্বরে কোনও আতশবাজিও পোড়ানো হবে না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন