Dengue

আবার ডেঙ্গির ভুল? এ বার প্রশ্ন জলে

দিন পাঁচেক হল দক্ষিণ শহরতলির নেতাজিনগর, যাদবপুর, গড়িয়া, পাটুলি, বৈষ্ণবঘাটা, বাঘাযতীনের বেশ কিছু এলাকায় আন্ত্রিক ছড়াচ্ছে। যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের দাবি, পুরসভার জল থেকেই ছড়াচ্ছে রোগ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৮ ০৩:৩৭
Share:

আক্রান্ত: বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে সোমবার। ছবি: সুমন বল্লভ

ডেঙ্গি সংক্রমণের সময় পুরসভার তরফে প্রশ্ন তোলা হয়েছিল, আদৌ ডেঙ্গি হয়েছে তো? এ বার দক্ষিণ শহরতলির ৮টি ওয়ার্ডে আন্ত্রিক নিয়ে পুরসভা ‘না ছুঁই পানি’!

Advertisement

দিন পাঁচেক হল দক্ষিণ শহরতলির নেতাজিনগর, যাদবপুর, গড়িয়া, পাটুলি, বৈষ্ণবঘাটা, বাঘাযতীনের বেশ কিছু এলাকায় আন্ত্রিক ছড়াচ্ছে। যাঁরা আক্রান্ত হচ্ছেন তাঁদের দাবি, পুরসভার জল থেকেই ছড়াচ্ছে রোগ। যে সব চিকিৎসক রোগীদের পরীক্ষা করছেন, তাঁদেরও মনে হয়েছে, জলবাহিত কোনও সংক্রমণ থেকেই দ্রুত ছড়াচ্ছে আন্ত্রিক। কিন্তু পুরসভার দাবি, তাদের সরবরাহ করা জলে সংক্রমণ মেলেনি। আবার রোগের কোনও কারণ পুরসভা এখনও খুঁজে পায়নি। যা দেখেশুনে পুরসভার স্বাস্থ্য দফতরের অনেক আধিকারিকই ‘উদ্বিগ্ন’। প্রশ্ন উঠছে, ডেঙ্গিতে ধারাবাহিক মৃত্যুর ঘটনার সময় তথ্য গোপনের বিপদ দেখেও কি শিক্ষা নিচ্ছে না পুরসভা?

মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগেরও দায়িত্বপ্রাপ্ত। তিনি আক্রান্ত এলাকায় দিনে একবার করে যাচ্ছেন। কিন্তু আক্রান্ত এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, মেয়র এলাকায় এলেও সংক্রমণের কারণ সম্পর্কে কিছু বলতে পারছেন না। সোমবারেও আক্রান্ত এলাকায় গিয়ে মেয়র বলেছেন, ‘‘জলের নমুনা যা সংগ্রহ হয়েছে, তাতে সমস্যা মেলেনি। আমরা এখনও বলছি যে, জল নিরাপদ।’’ তা হলে এত মানুষ অসুস্থ হচ্ছেন কী ভাবে? মেয়রের বক্তব্য, ‘‘হাসপাতালের চিকিৎসকদের কাছ থেকে জেনেছি যে, প্রতিবার সিজন চেঞ্জের সময় এমন রোগীরা আসেন। এখন মানসিক ভাবে আতঙ্কিত হয়ে কেউ আসছেন, নাকি সত্যিই কিছু ঘটেছে, দেখা হচ্ছে।’’ এ দিনই বাঘাযতীন স্টেট জেনারেল হাসপাতালে আরও ১৭ জন ভর্তি হয়েছেন। ২১ জনকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর।

Advertisement

আরও পড়ুন: বিক্ষোভ ঠিক না ভুল, দ্বিমত বাবা-মায়েরা

এ দিনও পুরসভার জল সরবরাহ বিভাগের আধিকারিকেরা আক্রান্তদের বাড়ি গিয়ে জলের নমুনা সংগ্রহ করেন। পলতায় পুরসভার পরীক্ষাগারে তাতে ‘অস্বাভাবিক’ কিছু মেলেনি বলে পুরসভার দাবি। এ দিকে, পুরসভা সংক্রমণের কারণ ধরতে না পারায় ল্যাবরেটরির বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন। জটিলতা এড়াতে স্কুল অব ট্রপিক্যাল মেডিসিন-সহ অন্যত্র জল পরীক্ষা করতে পাঠানো হবে বলে পুরসভা সূত্রের খবর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন