অরোদীপ কাণ্ডে ধৃত এ বার বাবাও

জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে কয়েক বার ডেকেও পাঠিয়েছিল বিধাননগর পুলিশ। কিন্তু তিনি যাননি বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ জানায়, অসীমবাবুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শেষমেশ বুধবার কলকাতা থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করল বিধাননগর পুলিশ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৪ অগস্ট ২০১৭ ০০:৫৪
Share:

অরোদীপ চট্টোপাধ্যায়। ফাইল চিত্র।

ভুয়ো চিকিৎসক অভিযোগে লেক টাউন থানা এলাকার বাসিন্দা অরোদীপ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতারের পরে তদন্তে উঠে এসেছিল তাঁর বাবা, পেশায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসক অসীম চট্টোপাধ্যায়ের নাম। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তাঁকে কয়েক বার ডেকেও পাঠিয়েছিল বিধাননগর পুলিশ। কিন্তু তিনি যাননি বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ জানায়, অসীমবাবুকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। শেষমেশ বুধবার কলকাতা থেকেই তাঁকে গ্রেফতার করল বিধাননগর পুলিশ।

Advertisement

তদন্তে নেমে পুলিশ দেখে, প্রেসক্রিপশনে অরোদীপের সইয়ের পাশাপাশি অসীমবাবুরও সই ছিল। এর পরেই তাঁকে তলব করা হয়। কিন্তু তাঁর সাড়া মেলেনি বলেই অভিযোগ। অসীমবাবুর বিরুদ্ধে তদন্তে অসহযোগিতার অভিযোগও এনেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, চিকিৎসা করার বৈধ অনুমতি যে অরোদীপের ছিল না, তা জানতেন অসীমবাবু। তা সত্ত্বেও এক জন চিকিৎসক হয়ে তিনি কেন ছেলেকে কাজে সহযোগিতা করেছেন, তা জানার চেষ্টা করা হচ্ছে। বস্তুত, এই ঘটনাকে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের সামিল বলেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।

তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, অরোদীপকে জেরা করে অনেক গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করা গিয়েছে। সেগুলি খতিয়ে দেখে তদন্তকারীরা প্রাথমিক ভাবে নিশ্চিত হন, চিকিৎসা করার কোনও বৈধ অনুমতি ছিল না অরোদীপের। অথচ তিনি ক্যানসার রোগীদের চিকিৎসা করতেন বলে একাধিক অভিযোগ দায়ের হয় পুলিশের কাছে। অরোদীপের আইনজীবীরা অবশ্য আদালতে বার বার দাবি করেছেন, তিনি কখনওই নিজেকে চিকিৎসক হিসেবে দাবি করেননি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement