বারুইপুর সেন্ট্রাল জেলের বন্দিরাই প্রথম ম্যাট্রেস পেতে পারেন।—ফাইল চিত্র।
বারুইপুর জেলে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করে বিচারাধীন বন্দিদের মধ্যে তুমুল সংঘর্ষ বাধে। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন ৮-১০ জন বিচারাধীন বন্দি। এর মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর।
সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার বিকেল চারটে নাগাদ দক্ষিণ ২৪ পরগনার বারুইপুর জেলের মাঠে দুই দলে ভাগ হয়ে ফুটবল খেলছিলেন বিচারধীন বন্দিরা। তখনই দুই বন্দির মধ্যে বচসা বাধে। তার পরই বন্দিরা দুই দলে ভাগ হয়ে নিজেদের মধ্যে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন।তখন ডেপুটি জেলারের নেতৃত্বে জেলরক্ষীরা বন্দিদের উপর ব্যাপক লাঠি চালান। এই ঘটনায় ৮-১০ জন বিচারাধীন বন্দি আহত হন। তার পর সব বন্দিকে নিজস্ব ওয়ার্ডে তালাবন্ধ করে দেওয়া হয়।
যদিও বন্দিদের উপর লাঠিচার্জের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জেল কর্তৃপক্ষ। তাঁদের দাবি, শুধুমাত্র বিবাদমান দুই দলকে আলাদা করে দেওয়া হয়েছিল। লাঠি চালানো হয়নি। সূত্রের খবর, বারুইপুর জেল হাসপাতালের পরিকাঠামো সম্পূর্ণ নয়। এমনকি, প্রয়োজনীয় চিকিৎসকও নেই। আর সে জন্য আহত বন্দিদের চিকিৎসা করা হয়নি বলেও দাবি।
আরও পড়ুন: ৪২ দিন পর মেঘালয়ের খনি থেকে উদ্ধার এক শ্রমিকের পচাগলা দেহ
সূত্রের খবর, এ দিন রাত ৯টা নাগাদসুপার শুভেন্দুকৃষ্ণ ঘোষ ঘটনাস্থলে এলে তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান বিচারাধীন বন্দিরা। শুধু চিকিৎসা না করানো নয়, এ দিন নির্দিষ্ট সময়ে তাঁদের খাবার দেওয়া হয়নি বলেও অভিযোগ করেন বন্দিরা। তাঁদের দাবি, নিয়মমাফিক বিকেল পাঁচটা নাগাদ খাবার দেওয়ার কথা। কিন্তু, রাত ৯টা বেজে গেলেও খাবার দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন বন্দিরা। যদিও সব অভিযোগই অস্বীকার করেছেন জেল কর্তৃপক্ষ।
আরও পড়ুন: অফিস থেকে তুলে নিয়ে গিয়ে প্রযোজক শ্রীকান্ত মোহতাকে গ্রেফতার করল সিবিআই