TMC

ছবি তোলা ঘিরে গোলমাল, জনতা ও পুলিশে খণ্ডযুদ্ধ

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার সকালে আমডাঙার সাধনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গজবন গ্রামের বাসিন্দা বৃদ্ধ সাহাদাদ মণ্ডলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হওয়া হয় ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজের জন্য।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ অগস্ট ২০২০ ০২:০৪
Share:

নজরদারি: গোলমালের পরে এলাকায় পুলিশি পাহারা। রবিবার সন্ধ্যায়, আমডাঙায়। নিজস্ব চিত্র

এক বৃদ্ধের কাঁধে তৃণমূলের দলীয় পতাকা রেখে ছবি তুলেছিলেন স্থানীয় নেতা। সেই ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করার অভিযোগ ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে উঠল আমডাঙা থানা এলাকা। অভিযোগ, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়া হয়। গাছের গুঁড়ি ফেলে অবরোধ করা হয় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক। পুলিশও পাল্টা লাঠি চালায় এবং কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে। গোলমালের খবর পেয়ে পৌঁছয় বিশাল পুলিশবাহিনী। রাত পর্যন্ত এলাকায় উত্তেজনা ছিল। বাসিন্দাদের দাবি, বোমাবাজির ঘটনাও ঘটেছে। যদিও তা অস্বীকার করেছে পুলিশ। গোলমালে কয়েক জন বিক্ষোভকারীর পাশাপাশি জখম হন কয়েক জন পুলিশকর্মীও। যদিও পুলিশের শীর্ষ কর্তারা দাবি করেছেন, কোনও পুলিশকর্মী জখম হননি।

Advertisement

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার সকালে আমডাঙার সাধনপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গজবন গ্রামের বাসিন্দা বৃদ্ধ সাহাদাদ মণ্ডলকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে হওয়া হয় ১০০ দিনের প্রকল্পে কাজের জন্য। সাহাদাদের ছেলে শেখ মোকাদ্দেস স্থানীয় একটি সংগঠনের সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘‘বাবাকে ডেকে নিয়ে গিয়ে তৃণমূলের এক নেতা তাঁর কাঁধে দলীয় পতাকা রেখে ছবি তোলেন। পরে তা সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেন। ঘটনার কথা জেনে আমরা প্রতিবাদ জানাই। তখনকার মতো সব মিটে যায়।’’

অভিযোগ, দুপুরে ওই তৃণমূল নেতা দলবল নিয়ে গিয়ে মোকাদ্দেসদের মারধর করেন। দু’পক্ষের কয়েক জন জখম হন। পুলিশ পৌঁছে মোকাদ্দেসদের কয়েক জনকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে। সন্ধ্যায় তাঁদের ছেড়ে দেওয়ার দাবিতে মোকাদ্দেসের অনুগামী কয়েকশো লোক থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখান। ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধও করা হয়। অবরোধ তুলতে গেলে পুলিশের সঙ্গে খণ্ডযুদ্ধ বাধে বিক্ষোভকারীদের। অভিযোগ, পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট-পাথর ছোড়া হয়। বোমাবাজিও হয় বলে দাবি বাসিন্দাদের একাংশের। পরিস্থিতি সামলাতে পুলিশও পাল্টা লাঠি চালায় ও কাঁদানে গ্যাস ছোড়ে।

Advertisement

গোলমালে জখম হন আমডাঙা থানার আইসি-সহ কয়েক জন। খবর পেয়ে বারাসত পুলিশ জেলার সুপার অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বিশাল বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। অভিজিৎবাবু বলেন, ‘‘দু’পক্ষের গোলমাল হয়েছে। তবে কোনও পুলিশকর্মী জখম হননি।’’ বোমাবাজির দাবিও মানেনি পুলিশ।

তৃণমূলের তরফে অবশ্য দাবি করা হয়েছে, সাহাদাদ তাঁদের দলের কর্মী। জেলা সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, ‘‘সাহাদাদ এ দিন তৃণমূলের পতাকা লাগাচ্ছিলেন। সেই ছবি ভাইরাল হয়। সাহাদাদের ছেলে প্রতিবাদ করেন। তা নিয়েই গোলমাল হয়েছে। তবে বোমাবাজির হয়নি।’’ গোটা ঘটনা সম্পর্কে ওই তৃণমূল নেতার প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement