Rape

কলকাতার বুকে ভয়ঙ্কর কাণ্ড! বন্দুক দেখিয়ে ধর্ষণ নবম শ্রেণির ছাত্রীকে, গ্রেফতার গৃহশিক্ষক

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষকের বাড়িতে গত কয়েক বছর ধরে পড়তে যায় ছাত্রীটি। অভিযোগ, সেখানেই রীতিমতো বন্দুক দেখিয়ে তার উপর নিয়মিত যৌন নির্যাতন করতেন ওই গৃহশিক্ষক।আরও অভিযোগ, ঘটনার কথা জানাজানি হলে ছাত্রীকে গুলি করে প্রাণনাশের হুমকিও দেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৯ জুলাই ২০১৯ ১২:১৬
Share:

বন্দুকের মুখে ধর্ষিতা ছাত্রী। গ্রাফিক্স: তিয়াসা দাস

বন্দুকের মুখে ধর্ষিত রানিকুঠির নামী ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের নবম শ্রেণির এক ছাত্রী। কাঠগড়ায় গৃহশিক্ষক। কিশোরীর বাড়ির লোকের অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত শিক্ষক রাজীব চক্রবর্তীকে গ্রেফতার করেছে বাঁশদ্রোণী থানার পুলিশ। ডিসি সাউথ সুবার্বান সুদীপ সরকার জানিয়েছেন, তার বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই শিক্ষকের বাড়িতে গত কয়েক বছর ধরে পড়তে যায় ছাত্রীটি। অভিযোগ, সেখানেই রীতিমতো বন্দুক দেখিয়ে তার উপর নিয়মিত যৌন নির্যাতন করতেন ওই গৃহশিক্ষক।আরও অভিযোগ, ঘটনার কথা জানাজানি হলে ছাত্রীকে গুলি করে প্রাণনাশের হুমকিও দেন তিনি।

নেতাজিনগরে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে অভিযুক্ত শিক্ষককে। তার বিরুদ্ধে আগেও ছাত্রীদের উপর ‌যৌন নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছিল বলে পুলিশ সূত্রে খবর। ধৃত শিক্ষকের বাড়ি থেকে দুটি কার্তুজও উদ্ধার হয়েছে। নির্যাতিতার বয়ান নেওয়া হয়েছে। করা হচ্ছে ডাক্তারি পরীক্ষা। কিশোরীর বাড়ির লোকের সঙ্গেও কথা বলছে বাঁশদ্রোণী থানা।

Advertisement

আরও পড়ুন: মেয়র বদল হচ্ছে কি, দিনভর জল্পনা

মুখ ভাঙলে কলই খুলে নেবে পুরসভা

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, নেতাজি নগরের ওই বাড়িতে কোচিং সেন্টার চালাত অভিযুক্ত রাজীব চক্রবর্তী। এর আগেও ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ উঠেছে। দক্ষিণ কলকাতার নামী স্কুলের ওই ছাত্রীকে প্রাণনাশের হুমকি দেওয়ায়, সে প্রথমে বাবা-মাকে এ বিষয়ে কিছু বলতে পারেনি। অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে কোচিং ক্লাসে যাওয়া বন্ধ করে দিয়েছিল ওই ছাত্রী।

তার পরেও পিছু ছাড়েনি ওই শিক্ষক। ছাত্রীর বাড়ি চলে যায় সে। শেষ পর্যন্ত বাবা-মাকে বিষয়টি জানায় ওই ছাত্রী। এর পরেই পরিবারের তরফ থেকে বাঁশদ্রোণী থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। এই ঘটনায় আর কেউ জড়িত কি না, খতিয়ে দেখা হচ্ছে। আর কারও সঙ্গে এমন ঘটনা ঘটেছে কি না, তা-ও জানার চেষ্ট করছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement