সেই গাড়ি। — নিজস্ব চিত্র
বেপরোয়া গতি কেড়ে নিল আরও একটি প্রাণ।
রবিবার ভোরে ই এম বাইপাসে গাড়ি দুর্ঘটনায় মারা গেলেন উনিশ বছরের তরুণী অহনা কর। পুলিশ জানিয়েছে, সোদপুরের বাসিন্দা অহনা কলেজে পড়তেন।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নিউ টাউনের একটি নাইট ক্লাব থেকে বন্ধুর গা়ড়ির সামনের আসনে বসে বাড়ি ফিরছিলেন অহনা। গাড়ি চালাচ্ছিলেন তাঁর বন্ধু ফিরোজ আহমেদ সিদ্দিকি। তিনি সল্টলেকের পাঁচ নম্বর সেক্টরে এক তথ্য-প্রযুক্তি সংস্থায় চাকরি করেন। পুলিশ জানিয়েছে, দুর্ঘটনার সময়ে গাড়িটি এতটাই গতিতে ছিল যে বাঁ দিকের আসন থেকে গাড়ির সামনের কাচ ভেঙে রাস্তায় ছিটকে পড়েন অহনা। ঘটনাটি ঘটে সল্টলেক স্টেডিয়ামের পাঁচ নম্বর গেটের সামনে।
ওই গাড়িতে অহনা, ফিরোজ ছাড়াও ছিলেন আরও চার যুবক। দুর্ঘটনার ফলে এত তীব্র আওয়াজ হয় যে স্থানীয় বাসিন্দারা বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন। তাঁরাই আহতদের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখান থেকে অহনাকে পরে এনআরএসে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। পুলিশ জানিয়েছে, আহত ফিরোজ এখনও ওই বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি। বাকি চার জন যুবককে প্রাথমিক চিকিৎসার পরে ছেড়ে দেওয়া হয়।
কী করে ঘটল এমন দুর্ঘটনা? পুলিশের অনুমান, সারা রাত ক্লাবে নাচ-গানের সঙ্গে মদ্যপানও করে ওই ছ’জন। সন্দেহ, মত্ত অবস্থায় গাড়ি চালাচ্ছিলেন ফিরোজ। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, নিউ টাউন থেকে চিংড়িঘাটা হয়ে ফিরোজ গাড়ি নিয়ে বাইপাসে ওঠার পরে একটি লরির সঙ্গে তাঁর রেষারেষি শুরু হয়। লরিটিও বাইপাস ধরে উল্টোডাঙার দিকে যাচ্ছিল।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ভোর চারটে দশ মিনিট নাগাদ সল্টলেক স্টেডিয়ামের সামনে লরিটি গতি বা়ড়িয়ে ফিরোজকে ওভারটেক করে ডান দিক ঘেঁষে বেরিয়ে যায়। ওই সময়েই গাড়িটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। স্টেডিয়ামের ৫ নম্বর গেটের সামনে রাস্তার পাশে ডিভাইডারে সজোরে ধাক্কা মারে গাড়িটি। শেষ মুহূর্তে প্রচণ্ড জোরে ব্রেক কষেও গাড়িটিকে থামানো যায়নি বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। জোর ঝাঁকুনিতে গাড়ির সামনের কাঁচ ভেঙে অহনা রাস্তায় ছিটকে পড়েন এবং ইঞ্জিনটিও গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসে।