প্রতীকী ছবি।
বন্ধুর সঙ্গে সময় কাটাতে গেস্ট হাউসে উঠেছিলেন কলেজ ছাত্রী। কিন্তু তার ঘণ্টা দুয়েক পরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। অ্যাপ ক্যাব বুক করে বন্ধু তাঁকে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতাল ও পরে এম আর বাঙুর হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই মৃত্যু হয় ওই তরুণীর। প্রাথমিক ভাবে চিকিৎসকেরা জানান, বছর বাইশের ওই ছাত্রী যোনি থেকে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে মারা গিয়েছেন। বন্ধুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করছে চেতলা থানার পুলিশ।
পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার চেতলা এলাকার একটি বেসরকারি গেস্ট হাউসে বেলা দেড়টা নাগাদ চেক-ইন করেন লিলুয়ার বাসিন্দা এক তরুণ-তরুণী। তার পরেই বেলা সাড়ে তিনটে নাগাদ ওই তরুণী অসুস্থ হয়ে পড়েন। প্রথমে আলিপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে এমআর বাঙ্গুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। প্রথমে ছাত্রীর আত্মীয় বলে পরিচয় দিলেও, তরুণীর মৃত্যুর পরে তরুণের কথায় অসঙ্গতি লক্ষ করেন চিকিৎসকেরা। এর পরেই তাঁরা পুলিশের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
পুলিশ সূত্রের খবর, মৃত ছাত্রীর বন্ধুকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, ওই ছাত্রীর সঙ্গে তাঁর দীর্ঘদিনের সম্পর্ক ছিল। ওই তরুণী মধ্য কলকাতার একটি বেসরকারি কলেজে বিসিএ-র ছাত্রী ছিলেন। একই কলেজের বিবিএ-র ছাত্র ছিেলন তাঁর বন্ধু। তদন্তকারী এক কর্তা জানান, তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে একে অপরকে চিনতেন, তাঁদের মধ্যে সম্পর্কও ছিল বলে সূত্রের খবর। কিন্তু এ দিন কী ভাবে ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লেন, সেই উত্তর দেওয়ার সময় তাঁর কথায় নানান অসঙ্গতি দেখা দেয়। পুলিশের এক কর্তা বলেন, ‘‘মৃতদেহ ময়না-তদন্তে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট এলে পরিষ্কার হবে ঠিক কী কারণে তরুণীর মৃত্যু হয়েছে।’’