Calcutta University

তিনটি সিমেস্টারের পরীক্ষার দায়িত্ব কি ফের কলেজেরই

করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া থেকে শুরু করে খাতা দেখা— সব দায়িত্বই কলেজের উপরে ছেড়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়।

Advertisement

মধুমিতা দত্ত

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২১ ০৩:৪৪
Share:

—ফাইল চিত্র

যে ভাবে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক স্তরের চূড়ান্ত বর্ষ, চূড়ান্ত ও অন্তর্বর্তী সিমেস্টার এবং ব্যাকলগের পরীক্ষা নিয়েছে কলেজগুলি, সে ভাবেই আগামী মার্চ মাসে অনুষ্ঠিতব্য তিনটি সিমেস্টারের পরীক্ষা নেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে চিন্তিত অধ্যক্ষেরা।

Advertisement

করোনা পরিস্থিতিতে অনলাইনে পরীক্ষা নেওয়া থেকে শুরু করে খাতা দেখা— সব দায়িত্বই কলেজের উপরে ছেড়েছিল বিশ্ববিদ্যালয়। সময় মেনে সেই দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয়েছিল কলেজগুলিকে। প্রথমে চূড়ান্ত বর্ষ ও চূড়ান্ত সিমেস্টারের পরীক্ষা কলেজগুলি নিয়েছিল। তার পরে অন্তর্বর্তী সিমেস্টার এবং ব্যাকলগের যাবতীয় পরীক্ষার দায়িত্বও বর্তায় তাদের উপরে। এত পরীক্ষার প্রশ্ন তৈরি, পরীক্ষা নেওয়া, খাতা দেখা এবং নম্বর আপলোড— সব কিছু করতে হয়েছে সংশ্লিষ্ট কলেজকেই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের পোর্টালে নম্বর আপলোড করা ছিল দীর্ঘ পর্ব। অভিযোগ উঠেছিল, নম্বর আপলোডের সময়ে পোর্টাল ঠিক মতো কাজ করেনি। গোটা বিষয়টি ‘ইউজ়ার ফ্রেন্ডলি’ ছিল না। ওটিপি আসত শুধু অধ্যক্ষের মোবাইলে। শিক্ষকদের বড় অংশের অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতে নম্বর আপলোডে খুবই অসুবিধায় পড়েছিলেন তাঁরা। এতেই শেষ নয়। অনলাইনে পরীক্ষার খাতা সংশ্লিষ্ট কলেজেরই শিক্ষকেরা দেখায় প্রশ্ন উঠেছিল, এতে পড়ুয়াদের মূল্যায়ন ঠিক মতো হচ্ছে তো?

Advertisement

আরও পড়ুন: প্রিয়াঙ্কা ঘুঁটি মাত্র? টলি-প্রভাবশালীর হাত জুনিয়র খুনে? খুঁজছে সিবিআই

আরও পড়ুন: শহরে ‘বিবেকের ডাকে’ ১২ জানুয়ারি শুভেন্দু-দিলীপ, মুকুল-কৈলাস

এই পরিপ্রেক্ষিতে আসন্ন প্রথম, তৃতীয় ও পঞ্চম সিমেস্টারের পরীক্ষার দায়িত্ব ফের তাঁদের উপরে এসে পড়বে হবে কি না, তা নিয়েই চিন্তায় অধ্যক্ষেরা। নিউ আলিপুর কলেজের অধ্যক্ষ জয়দীপ ষড়ঙ্গী জানালেন, তাঁদের কলেজে অন্য বিষয়ের প্রশ্নপত্র তৈরির পাশাপাশি বাণিজ্য বিভাগে তৈরি করতে হয়েছিল ৭৩ রকমের প্রশ্ন। অতিমারির এই সময়ে কলেজে যখন প্রায় কেউই আসছেন না, তখন এত কাজ সামলানো দুরূহ হয়ে পড়েছিল। জয়দীপবাবু বলেন, ‘‘পরীক্ষার বিষয়টি কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ের যৌথ দায়িত্ব। সেটা মাথায় রেখে যদি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ পদক্ষেপ করেন ভাল হয়।’’ চিত্তরঞ্জন কলেজের অধ্যক্ষ শ্যামলেন্দু চটোপাধ্যায়ের বক্তব্য, বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ভাবে পরীক্ষা নিক। তিনি বলেন, ‘‘অনার্সে কম পড়ুয়া থাকায় সেই পরীক্ষা অফলাইনে নেওয়া যেতেও পারে। সঙ্গে অনার্সের প্র্যাক্টিকালও নেওয়া যেতে পারে।’’ যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের অধ্যক্ষ পঙ্কজ রায়ের বক্তব্য, ‘‘কলেজগুলোকে স্বশাসন দেওয়া হোক। আমরা সামলে নেব।’’

তবে করোনার টিকা এসে যাওয়ায় অনেক অধ্যক্ষ কিছুটা আশাবাদীও। তাঁদের মত, হয়তো মার্চের মধ্যে কলেজ খোলার পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে। পুরো বিষয়টি নিয়ে পরীক্ষা নিয়ামক জয়িতা দত্তগুপ্তকে ফোন এবং মেসেজ করেও কথা বলা যায়নি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন