সময় মানে না মেট্রো, অভিযোগ যাত্রীদের

সময়মতো কোনও স্টেশনেই দেখা মেলেনি ট্রেনের। এ দিকে, এক-একটি স্টেশনে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অনেক বেশি সময় দাঁড়িয়ে থেকেছে ট্রেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ মার্চ ২০১৯ ০১:১৩
Share:

শুক্রবারও দিনভর দফায় দফায় ভুগিয়েছে মেট্রো। ফাইল চিত্র।

রেলের যাত্রী পরিষেবা কমিটির সদস্যদের সামনে মেট্রোর সময়ানুবর্তিতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন যাত্রীরা। ভিড়ের চাপ সামলাতে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ানোর দাবিও উঠল। এ দিকে, শুক্রবারও দিনভর দফায় দফায় ভুগিয়েছে মেট্রো। সময়মতো কোনও স্টেশনেই দেখা মেলেনি ট্রেনের। এ দিকে, এক-একটি স্টেশনে নির্ধারিত সময়ের চেয়ে অনেক বেশি সময় দাঁড়িয়ে থেকেছে ট্রেন। ফলে অভিযোগ, যাত্রীরা এ দিনও সময় মতো তাঁদের গন্তব্যে পৌঁছতে পারেননি।

Advertisement

এ দিন রেলের যাত্রী পরিষেবা কমিটির তিন সদস্য গুরবিন্দর সিংহ শেঠী, সত্যব্রত দত্ত এবং কৌশলকুমার বিদ্যার্থী কলকাতা মেট্রোর ৩টি স্টেশন ঘুরে পরিষেবা এবং যাত্রী স্বাচ্ছন্দ্য সম্পর্কে খোঁজখবর নেন। সঙ্গে ছিলেন মেট্রোর ডেপুটি চিফ অপারেশন ম্যানেজার শুভাশিস ভট্টাচার্য। বেলা ১১টা নাগাদ ওই প্রতিনিধি দল প্রথমে যায় সেন্ট্রাল স্টেশনে। সেখানে কয়েক জন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলার পাশাপাশি স্টেশন চত্বরের খাবারের স্টেল ঘুরে দেখেন তাঁরা। যাচাই করেন কোথাও মেয়াদ পেরোনো খাবার বিক্রি হচ্ছে কি না। এর পরে প্রতিনিধি দলের সদস্যেরা এসপ্লানেড স্টেশনে গিয়ে প্রায় ৮-৯ জন যাত্রীর সঙ্গে কথা বলেন। সেখানেই মেট্রোর

সময়ানুবর্তিতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন যাত্রীরা। অধিকাংশেরই বক্তব্য, মেট্রো সময় মেনে চলে না। এক যাত্রী বলেন, ‘‘দু’টি ট্রেনের মধ্যে ব্যবধান প্রায়ই ৭-৮ মিনিট হয়ে যাচ্ছে। ওই ব্যবধান কমিয়ে পাঁচ মিনিটে আনলে ভাল হয়। ট্রেনের সংখ্যা বাড়ুক। ভিড়ের চাপে ট্রেনে উঠতে সমস্যা হয়।’’

Advertisement

সম্প্রতি সংসদের রেলওয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যদের সামনেও মেট্রোর সময়ানুবর্তিতা নিয়ে অভিযোগ জানিয়েছিলেন যাত্রীরা। এ দিন ফের সেই প্রসঙ্গ ওঠায় পরিদর্শনে আসা রেলের যাত্রী পরিষেবা কমিটির অন্যতম সদস্য সত্যব্রত দত্ত বলেন, ‘‘মেট্রোর সময়ানুবর্তিতা নিয়ে যাত্রীদের কিছু অভিযোগ পাওয়া গিয়েছে। বিষয়টি মেট্রোকর্তাদের নজরে আনা হচ্ছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন স্টেশনে মহিলা আরপিএফ কর্মীদের সংখ্যা বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। পুরনো রেক বদলের কথাও জানানো হয়েছে।’’ দিনভর দফায় দফায় ভোগান্তির পরে এ দিনের সেই আশ্বাসের দিকেই তাকিয়ে এখন যাত্রীরা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement