স্কুলে মেলার অনুমতি নিয়ে তরজা

গত ১৮ ডিসেম্বর স্কুলশিক্ষা দফতর সুস্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেয় প্রয়োজনীয় অনুমতি ছাড়া শিক্ষার সঙ্গে সম্পর্ক নেই এমন কোনও কাজে স্কুলবাড়ি কিংবা তার পরিকাঠামো ব্যবহার করা যাবে না।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ৩০ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৩:১০
Share:

ঘুঘুডাঙা ভারতী বিদ্যামন্দিরের ক্লাসরুমে চলছে পাখির মেলা। শনিবার। ছবি: শৌভিক দে

বিয়েবাড়ির পরে এ বার স্কুলে পাখি-মেলা।

Advertisement

ফের পঠন-পাঠনের বাইরে অন্য কাজে স্কুল চত্বর ব্যবহারের অভিযোগ উঠল। এ বার দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১২ নম্বর ওয়ার্ডে ঘুঘুডাঙা ভারতী বিদ্যামন্দিরে শুরু হয়েছে তিন দিনের পাখি-মেলা। যা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্কও। শনিবার থেকে ওই পাখি-মেলা শুরু হয়েছে। সম্প্রতি হাওড়ায় একটি স্কুলবাড়ির চত্বরে বিয়েবাড়ির আয়োজন করা হয়েছিল। তা নিয়েও বিতর্ক হয়।

গত ১৮ ডিসেম্বর স্কুলশিক্ষা দফতর সুস্পষ্ট নির্দেশিকা জারি করে বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেয় প্রয়োজনীয় অনুমতি ছাড়া শিক্ষার সঙ্গে সম্পর্ক নেই এমন কোনও কাজে স্কুলবাড়ি কিংবা তার পরিকাঠামো ব্যবহার করা যাবে না।

Advertisement

দক্ষিণ দমদমের ওই পাখি-মেলার আয়োজক ১২ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর জয়ন্তী সেনশর্মার স্বামী রাজু সেনশর্মা। তিনি স্থানীয় তৃণমূলের যুবনেতা। স্থানীয় সূত্রের খবর, স্কুলের তিনতলার শ্রেণিকক্ষে মণ্ডপ তৈরি করে খাঁচাবন্দি পাখিদের প্রদর্শনী চলছে। পাশাপাশি, একতলার শ্রেণিকক্ষে বিদেশি মাছের প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। ঢাকা পড়েছে ক্লাসরুমের ব্ল্যাকবোর্ড। দোতলার বারান্দায় ডাঁই করে রাখা আছে বেঞ্চ-টেবিল। মেলার এমন আয়োজনে শিক্ষার পরিবেশ‌ নষ্ট হ‌ওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

প্রধান শিক্ষক সমীর বিশ্বাস বলেন, “আমি মেলার অনু্মতি দিইনি। এর বাইরে যা বলার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বলব।”

রাজুর পাল্টা দাবি, ‘‘স্কুলবাড়িতে অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে পরিচালন সমিতির সভাপতির অনুমতিই চূড়ান্ত। তা রয়েছে।”

কিন্ত পরিচালন সমিতির সভাপতি তো তিনিই?

রাজু জানান, শিক্ষা দফতরের যে অনুমতির কথা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে তা তাঁদের রয়েছে। তিনি বলেন, “২০ ডিসেম্বর নির্দেশিকার কথা জানতে পারি। তত দিনে পাখি মেলার প্রস্তুতি অনেকখানি এগিয়ে গিয়েছিল। এর পরে নির্দিষ্ট নিয়ম মেনে অনুমতি পেয়েছি।”

প্রধান শিক্ষক পাল্টা বলেন, “উনি ঠিক বলছেন না। স্কুলশিক্ষা দফতরের কমিশনার নির্দেশিকা জারি করেছেন। চূড়ান্ত অনুমতি তিনিই দেবেন। প্রধান শিক্ষককে জানিয়েই তা করা হবে। এ ক্ষেত্রে তা হয়নি। যা হচ্ছে তাতে নেতিবাচক বার্তাই যাচ্ছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন