এই মূর্তি ঘিরেই বিতর্ক। ছবি:শশাঙ্ক মণ্ডল
মূর্তি কোন্দল!
এক দিকে, নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু। অন্য দিকে, সলিল চৌধুরী। কার মূর্তি থাকবে আর কার যাবে—তা নিয়েই টানাপড়েন রাজপুর-সোনারপুর পুরসভার ২০ নম্বর ওয়ার্ডে। সেই অভিযোগ অবশ্য উড়িয়ে দিচ্ছেন স্থানীয় কাউন্সিলর তথা পুরসভার চেয়ারম্যান পল্লব দাস।
কোদালিয়ায় পৈতৃক বাড়ি সুভাষচন্দ্রের। তারই কাছে বাড়ি সলিলের। জানকীনাথ বসু এবং হরনাথ বসু নামাঙ্কিত রাস্তার মোড়ের কাছেই বসেছে সুরকার-গীতিকার-সঙ্গীত পরিচালকের মূর্তি। একটি অংশের দাবি, ওই জায়গাটি নেতাজি মোড় বলে পরিচিত। ফলে ওখানে নেতাজির মূর্তিই বসাতে হবে। প্রয়োজনে সলিলের মূর্তি একটু দূরে ‘অচেনা’ জায়গায় নিয়ে যেতে হবে। সেই জটেই সলিলের মূর্তি নিয়ে টানাপড়েন শুরু হয়েছে। তাই থমকে উদ্বোধনও। তবে এ সবের মাঝেই মূর্তির আবরণ উন্মোচন হয়েছে বলে একটি অংশের দাবি। যদিও কোনও ফলক নেই। বলা নেই, মূর্তিটি কার। তাতেই আপত্তি তুলছেন স্থানীয় বাসিন্দা অর্কদেব চট্টোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, ‘‘মূর্তিটি নিয়ে হেলাফেলা করা হয়েছে। ফলক ছাড়াই উদ্বোধন হয়ে গেল!’’ যদিও অন্য অংশের দাবি, জগদ্ধাত্রী পুজোর কারণে হয়তো আলো লাগাতে কোনও ভাবে মূর্তির আবরণ খুলে গিয়েছে। উদ্বোধন হয়নি।
মূর্তি নিয়ে টানাপড়েনের বিষয়টি উড়িয়ে দিচ্ছেন চেয়ারম্যান। পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, ১৯ নভেম্বরই উদ্বোধন হত সলিল চৌধুরীর মূর্তি। কারণ, ওই দিনই তাঁর জন্মদিন। সে দিন ওই জায়গায় জগদ্ধাত্রী পুজোর অনুষ্ঠান ছিল। পাশাপাশি, ওই দিন ব্যস্ত ছিলেন সলিল-কন্যা অন্তরা চৌধুরী। এই দুইয়ের কারণে উদ্বোধন থমকেছে বলে দাবি চেয়ারম্যানের। মর্যাদার সঙ্গেই কিছু দিনের মধ্যে মূর্তির উদ্বোধন করা হবে বলে দাবি তাঁর। পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, অন্তরার কাছ থেকে উদ্বোধনের তারিখ পাওয়ার অপেক্ষা করছেন তাঁরা। সে দিনই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও করতে চান কর্তৃপক্ষ। পুরসভা সূত্রে খবর, সলিল চৌধুরীর মূর্তি গড়তে প্রায় এক বছর সময় লাগল। কারণ, সুরকারের মুখ ঠিক মতো না হওয়ায় মূর্তি বদলাতে ফের কুমোরটুলিতে যায়।
এ বার তা তৈরি হলেও টানাপড়েনে থমকে ‘বিচারপতি তোমার বিচার করবে যাঁরা, আজ জেগেছে সেই জনতা’র গায়ক-সুরকার সলিলের মূর্তির উদ্বোধন।