নোটের ফাঁদে পেট্রোল পাম্প

খুচরো চাওয়ার প্রবণতায় কিছুটা রাশ এসেছে। সঙ্গে এসেছে নতুন বিপত্তিও। বুধবার তেল ভরাতে এসে অনেকেই বাতিল ৫০০ বা ১০০০ টাকার নোট ভাঙানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ বহু পাম্প মালিকদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০১৬ ০০:৪৯
Share:

খুচরো চাওয়ার প্রবণতায় কিছুটা রাশ এসেছে। সঙ্গে এসেছে নতুন বিপত্তিও।

Advertisement

বুধবার তেল ভরাতে এসে অনেকেই বাতিল ৫০০ বা ১০০০ টাকার নোট ভাঙানোর চেষ্টা করেছিলেন বলে অভিযোগ বহু পাম্প মালিকদের। এক সময়ে খুচরো শেষ হয়ে যাওয়ায় পুরো টাকার তেল নেওয়ার নির্দেশ পাম্পে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। পাম্প মালিকদের বক্তব্য, বৃহস্পতিবার ক্রেতাদের সেই চাহিদা কিছুটা হলেও কমেছে। নতুন সমস্যা তৈরি করেছে ব্যাঙ্কের চেক দেওয়ার বদলে রোজকার পরিচিত ক্রেতাদেরও নগদে তেলের টাকা মেটানোর প্রবণতা। ফলে ব্যাঙ্কে বিপুল অঙ্কের টাকা জমা দিতে গিয়ে নাজেহাল অবস্থা পাম্পের কর্মীদের। তাঁদের সমস্যার কথা জানিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে চিঠি দেওয়ার কথা বলেছে ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন’।

মঙ্গলবার রাতে ৫০০, ১০০০-র নোট বাতিলের ঘোষণার সঙ্গেই জানানো হয়, ১১ নভেম্বর মধ্যরাত পর্যন্ত তেলের পাম্পে ওই নোট ব্যবহার করা যাবে। তার পর থেকেই পাম্পগুলিতে কার্যত ক্রেতাদের ঢল নামে। পাম্প মালিকদের দাবি, বুধবার থেকে তেল কেনার সময়ে পাম্পে বাতিল নোট ভাঙিয়ে নেওয়ার হিড়িকে তাঁদের দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।

Advertisement

গোটা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে এ দিন বৈঠকে বসেন ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল পেট্রোলিয়াম ডিলার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর কর্তারা। পরে সংগঠনের প্রেসিডেন্ট তুষার সেন বলেন, ‘‘নোট ভাঙানোর প্রবণতা কিছুটা কমেছে। কিন্তু আরও সমস্যা আছে। রোজ তেল নিয়ে যে ক্রেতারা চেক-এ টাকা মেটাতেন, তাঁরাও এখন বাতিল নোটে দাম দিচ্ছেন।’’

তাঁর দাবি, ব্যাঙ্কে সেই বিপুল অঙ্কের টাকা জমা দিতে গিয়ে পাম্পের মালিক-কর্মীদের অনেকেই সমস্যায় পড়েছেন। এ ছাড়া, সাধারণ ভাবে তেল সংস্থার কাছ থেকে তেল নেওয়ার জন্য ব্যাঙ্কে ‘আরটিজিএস’ পদ্ধতিতে সংস্থাকে টাকা মেটাতে হয় পাম্পগুলির। তুষারবাবু বলেন, ‘‘অনেক ব্যাঙ্কেই এ দিন টাকা বদলের চাপ থাকায় আরটিজিএস করতে পারবে না বলে জানিয়েছে। ফলে তেল সংস্থাকে সেই সব পাম্প টাকা পাঠাতে পারেনি। মজুদ ভাণ্ডার শেষ হয়ে গেলে তেলের জোগানে সমস্যা হতে পারে।’’ যদিও ইন্ডিয়ান অয়েলের এক কর্তার আশ্বাস, তেলের জোগানে সমস্যা হবে না।

এ দিন থেকে ব্যাঙ্ক খোলায় অনেকেই ২০০০ টাকার নোট পেয়েছেন। পাম্প মালিকদের আশঙ্কা, সেই নোট ভাঙাতেও কেউ আসতে পারেন পাম্পে। তুষারবাবু বলেন, ‘‘তখন আবার খুচরোর সমস্যা হতে পারে।’’ তাঁদের আরও আশঙ্কা, আজকের পরেও কেউ কেউ পাম্পে বাতিল নোট জমা দেওয়ার জন্য চাপ দিতে পারেন। আগামিকাল থেকে যে আর বাতিল নোট নেওয়া হবে না, পাম্পের বাইরে তা-ও লিখে রাখার কথা ভাবছেন তাঁরা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন