নির্মাণ শেষ, প্রস্তুত ‘মা’-এর নতুন র‌্যাম্প

এসএসকেএম চত্বর থেকে এ জে সি বসু রোড উড়ালপুল হয়ে মা উড়ালপুল ধরে এত দিন কেবল বাইপাসমুখী যানবাহনই যেতে পারত। কিন্তু আসতে পারত না। এ বার নয়া র‌্যাম্প তৈরি হওয়ার ফলে আসার পথেও সেই সুযোগ মেলায় পার্ক সার্কাসের সাত মাথার মোড়ে আর নামতে হবে না কোনও গাড়িকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৯ ০১:১১
Share:

পরিদর্শন: নয়া র‌্যাম্প ঘুরে দেখছেন ফিরহাদ হাকিম। শনিবার। নিজস্ব চিত্র

গাড়ি চলাচলের জন্য প্রস্তুত মা উড়ালপুলের আর একটি র‌্যাম্প, যা কংগ্রেস এগজিবিশন রোডের উপর দিয়ে গিয়ে আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু রোডের উড়ালপুলে মিশেছে। আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধনের আগে শনিবার ওই র‌্যাম্প ঘুরে দেখলেন রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়নমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। তার পরেই তিনি জানিয়ে দিলেন, আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের মঞ্চ থেকে সেটির উদ্বোধন করবেন। এ দিন ফিরহাদ জানান, উদ্বোধনের পরেই খুলে দেওয়া হবে বাইপাস থেকে উড়ালপুলের উপর দিয়ে সরাসরি এসএসকেএম হাসপাতালের দিকে যাওয়ার ওই রাস্তা। কেএমডিএ সূত্রের খবর, ওই উড়ালপুল নির্মাণে সময় লেগেছে এক বছরের মতো। মন্ত্রী জানান, নির্মাণকাজে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছিল কয়েকটি বাড়ির বারান্দা। তা নিয়ে মামলা হয়েছে। সে সব কাটিয়ে কাজ এগোতে সময় লেগেছে।

Advertisement

এসএসকেএম চত্বর থেকে এ জে সি বসু রোড উড়ালপুল হয়ে মা উড়ালপুল ধরে এত দিন কেবল বাইপাসমুখী যানবাহনই যেতে পারত। কিন্তু আসতে পারত না। এ বার নয়া র‌্যাম্প তৈরি হওয়ার ফলে আসার পথেও সেই সুযোগ মেলায় পার্ক সার্কাসের সাত মাথার মোড়ে আর নামতে হবে না কোনও গাড়িকে। তাতে পার্ক সার্কাস মোড়ের যানজটও কমবে বলে ধারণা মন্ত্রীর। নতুন র‌্যাম্প তৈরি হওয়ায় বিমানবন্দর, বিধাননগর-সহ ওই এলাকার বিস্তীর্ণ অংশের সঙ্গে দক্ষিণ কলকাতার যোগাযোগ ব্যবস্থার অনেকটাই উন্নতি হবে। ফিরহাদের কথায়, ‘‘নতুন বছরে কলকাতাবাসীর জন্য এটা মুখ্যমন্ত্রীর উপহার।’’

একই সঙ্গে কেএমডিএ আরও একটি প্রকল্প হাতে নিতে চলেছে। সেটা হলে সল্টলেক থেকে মা উড়ালপুল ধরে সরাসরি গড়িয়াহাটে পৌঁছে যাওয়া যাবে। নামতে হবে না পার্ক সার্কাস মোড়ে। মা উড়ালপুল থেকে একটি র‌্যাম্প সৈয়দ আমির আলি অ্যাভিনিউয়ের উপর দিয়ে গিয়ে নামবে বালিগঞ্জে। গত রবিবার ওই এলাকার মাটি পরীক্ষাও করেছে রাইটস। ফিরহাদ বলেন, ‘‘সরকারের পক্ষ থেকে ওই উড়ালপুল নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে সব কিছুই নির্ভর করছে রাইটসের রিপোর্টের উপরে।’’ এ দিকে, রাইটসের এক কর্তা জানান, মাটি পরীক্ষার কাজ শেষ হয়েছে। মাটির নীচে নিকাশি পরিকাঠামো কেমন রয়েছে, তা-ও দেখা হচ্ছে।

Advertisement

তাঁর ধারণা, মাটির কোনও সমস্যা থাকবে না। ফেব্রুয়ারির তৃতীয় সপ্তাহের মধ্যে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে দরপত্র ডাকার কাগজপত্রও তৈরি করা হচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন