পথ সারাতে আর ২৪ ঘণ্টা, কাজ আদৌ শেষ হবে কি

মাত্র ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা। তার মধ্যেই শহরের সব রাস্তা মেরামতি, ফুটপাত সারাই, গাছের ডাল ছাঁটা-সহ যাবতীয় কাজ সম্পূর্ণ করে ফেলতে হবে।

Advertisement

দেবাশিস ঘড়াই

শেষ আপডেট: ০৭ অক্টোবর ২০১৮ ০১:০৯
Share:

এবড়ো-খেবড়ো: পিচ উঠে বেহাল রাস্তা। শনিবার, ধর্মতলা। ছবি: স্বাতী চক্রবর্তী

মাত্র ২৪ ঘণ্টার সময়সীমা। তার মধ্যেই শহরের সব রাস্তা মেরামতি, ফুটপাত সারাই, গাছের ডাল ছাঁটা-সহ যাবতীয় কাজ সম্পূর্ণ করে ফেলতে হবে। সমস্ত দফতরকে এমনটাই কড়া নির্দেশ কলকাতা পুর প্রশাসনের। কিন্তু গলির ভিতরে নয়, শহরের একাধিক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার বিভিন্ন জায়গায় যে চিত্র শনিবার ধরা পড়েছে, তাতে আগামিকাল, সোমবার, মহালয়ার আগে রাতারাতি সে কাজ শেষ করা যে অসম্ভব, তা স্বীকার করে নিচ্ছে পুর প্রশাসনের একাংশ। ফলে অন্য নির্দেশের মতো এটি খাতায়-কলমে থেকে যাবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, অল্প কাজ বাকি রয়েছে। তা শেষ হয়ে যাবে। এ দিন রাতেও কাজ হবে পুরোদমে।

Advertisement

পুর আধিকারিকদের মতে, রাস্তা সারাইয়ে প্রধান বাধা জলের পুরনো পাইপলাইন। কোথাও কোথাও পাইপ ফেটে জল বেরিয়ে আসায় রাস্তা ভেজা থাকছে। ফলে পিছিয়ে যাচ্ছে মেরামতি। শুক্রবার রাতেই কালীঘাটের একটি জায়গায় পাইপলাইনে ছিদ্র ধরা পড়েছিল। দ্রুত তা মেরামতি করে রাস্তা সারাই শেষ হয়েছে। সেই সঙ্গে বালিগঞ্জ, এপিসি রোডের একাংশেও কাজ করা হয়েছে। তার পরেও একাধিক বরোতে রাস্তা সারাইয়ের কাজ বাকি থেকে গিয়েছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর।

এক নম্বর বরোর চেয়ারম্যান তরুণ সাহা বলেন, ‘‘ছোটখাটো কিছু সারাইয়ের কাজ বাকি রয়েছে। বাকি মেরামতি শেষ।’’ পাঁচ নম্বর বরোর চেয়ারম্যান অপরাজিতা দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘ছোট গলিগুলোতে কিছু বাকি রয়েছে। তবে মহালয়ার পরে কতটা রাস্তা সারাই হল, তা আমি নিজে দেখব।’’ ছ’নম্বর বরোর চেয়ারম্যান সঞ্চিতা মণ্ডল বলেন, ‘‘মহালয়ার মধ্যে তো পুরো রাস্তা সারাই সম্ভব নয়। চতুর্থীর আগে পুরো কাজ হয়ে যাবে বলে আশা করছি।’’

Advertisement

৭ অক্টোবরের মধ্যে রাস্তা সারাই শেষ করতে বলে পুরসভার নির্দেশিকা

গাছের ডাল ছাঁটার কাজ শেষ হওয়া নিয়েও সংশয় প্রকাশ করেছেন পুর আধিকারিকদের একাংশ। এক পুর আধিকারিকের কথায়, ‘‘আগে গুরুত্বপূর্ণ মণ্ডপগুলির সামনে গাছের ডাল ছেঁটে দেওয়া হবে। বাকিটা করতে সময় লাগবে।’’

পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, কাশীপুর রোড, রবীন্দ্র সরণি, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ, বিডন স্ট্রিট, এপিসি রায় রোড, এজেসি বসু রোড-সহ গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা সারাই হয়ে গিয়েছে। যদিও এ দিনই ধর্মতলা ও ডায়মন্ড হারবার রোডে দেখা গেল আলাদা চিত্র। সেখানে পিচ উঠে ভাঙাচোরা হয়ে রয়েছে রাস্তা। অথচ মেয়র পারিষদ (রাস্তা) রতন দে-র বক্তব্য, ‘‘সব রাস্তা তো সারানো হয়ে গিয়েছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন