Coronavirus

সতর্কতার জেরে কাজ হারানোর আশঙ্কা দেগঙ্গায়

দেগঙ্গার বেশ কয়েক জন যুবক কর্মসূত্রে দুবাইয়ের বাসিন্দা। করোনাভাইরাসের সতর্কতার জেরে যাঁদের অনেকেই কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরতে পারছেন না।

Advertisement

অরুণাক্ষ ভট্টাচার্য

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ মার্চ ২০২০ ০৩:৩১
Share:

টিকিট থাকলেও দুবাই যাওয়া অনিশ্চিত টিটু ও ঝন্টুর। নিজস্ব চিত্র

করোনাভাইরাসের সতর্কতায় দেশ জুড়ে জারি হয়েছে সীমান্ত পারাপারে নিষেধাজ্ঞা। যে কোনও সময়ে বন্ধ হতে পারে উড়ান পরিষেবা। তেমন কিছু হলে কাজ হারানোর আশঙ্কা করছে দেগঙ্গা এলাকার একাধিক পরিবার। পড়াশোনার সূত্রে বিদেশে থাকা সন্তানদের পরিবারও আতঙ্কিত।

Advertisement

প্রশাসন সূত্রের খবর, পোল্যান্ডের প্রতিবেশী দেশ লিথুয়ানিয়ার কৌনাসে আটকে পড়েছেন মধ্যমগ্রামের নেতাজি নগরের বাসিন্দা এথিনা দাস। তাঁর মতো ১৮ জন ভারতীয় ছাত্রছাত্রী সে দেশে আটকে রয়েছেন। কিন্তু ওই দেশে ভারতীয় দূতাবাস নেই। তাই পোল্যান্ডে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসে এবং এ দেশের রাষ্ট্রপতির কাছে বাড়ি ফিরতে চেয়ে আবেদন করছেন তাঁরা। আবেদনে এথিনারা জানিয়েছেন, করোনার কারণে বন্ধ কৌনাস বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ তাঁদের হস্টেল ছাড়তে বলে দিয়েছেন। দেশে ফিরতে তাঁরা ১৮ মার্চ বিমানের টিকিট কেটেছেন। কিন্তু ওই দিন লিথুয়ানিয়া বিমানবন্দর থেকে কোনও উড়ান ছাড়বে না বলে জানানো হয়েছে। মঙ্গলবার এথিনার বাবা প্রণব দাস বলেন, ‘‘মেয়েরা কান্নাকাটি করছে। ওদের কাছে কয়েক দিনের খাবার মজুত রয়েছে। সব দোকান বন্ধ, ফলে খাবার পেতেও সমস্যা হচ্ছে।’’

অন্য দিকে, ঘরে ফিরলেও নজরে রাখা হচ্ছে চিনের ইয়াং শহরে ডাক্তারি পড়তে যাওয়া শাসন থানা এলাকার খড়িবাড়ির সাহাজিপাড়ার এক তরুণীকে। কোয়রান্টিনের নির্দিষ্ট সময়সীমা পেরিয়ে সম্প্রতি বাড়ি ফিরেছেন তিনি। উত্তর ২৪ পরগনা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, তা সত্ত্বেও তাঁকে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে।

Advertisement

দেগঙ্গার বেশ কয়েক জন যুবক কর্মসূত্রে দুবাইয়ের বাসিন্দা। করোনাভাইরাসের সতর্কতার জেরে যাঁদের অনেকেই কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফিরতে পারছেন না। অনেকে আবার বাড়ি এসে আটকে যাওয়ায় কাজে যোগ দিতে পারছেন না। রবিবার দুবাই থেকে কলকাতা বিমানবন্দরে নেমেছেন দেগঙ্গার হরেকৃষ্ণ কোঙার কলোনির বাসিন্দা সমীর দে। আতঙ্কিত তিনি ও তাঁর পরিবারের সদস্যেরা। ওই এলাকার কয়েক জন বাসিন্দা বিদেশে থাকেন, তাঁরা এখনও ঘরে ফিরতে পারেননি। ২০ মার্চ, শুক্রবার কলকাতা থেকে দুবাইয়ে যাওয়ার কথা চট্টলপল্লির বাসিন্দা টিটু দাসের। তাঁর ভাই ঝন্টুর সে দেশে যাওয়ার কথা ২৪ মার্চ। ওমান বিমানবন্দরে যাত্রীদের খাদ্য সরবরাহের কাজ করেন তিনি। আগামী ২৮ মার্চ তাঁর ছুটি শেষ হবে।

করোনা আতঙ্কে ভিসা নিয়ে সমস্যা হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন দুই ভাই। টিটু জানান, উড়ান বন্ধ হলে দুবাই ফিরতে পারবেন না। সে ক্ষেত্রে কাজ চলে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। স্বরাষ্ট্র দফতর ও রাজ্য সরকারের কাছে সহযোগিতার আবেদন করছে পরিবারগুলি। অন্য দিকে, দুবাইয়ে ঘরের ছেলেরা ফিরে গেলেও করোনা থেকে কতটা সুরক্ষিত থাকবেন তাঁরা, তা নিয়েও চিন্তিত পরিবারগুলি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন