ছবি: এএফপি।
নিউ টাউনের কোয়রান্টিন কেন্দ্রে ভর্তি, একটি বাড়ির তিন সদস্যের খোঁজ মিলছিল না। সেই খবর পৌঁছেছিল পুলিশের কাছে। খোঁজখবর করে তারা জানতে পারল, ওই তিন জন রয়েছেন নারকেলডাঙা থানা এলাকায় তাঁদের বাড়িতে! তাঁদের এবং সেই বাড়ির আরও তিন জনকে ফের নিউ টাউনের কোয়রান্টিন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। বুধবার সকালের ঘটনা। কলকাতা ও বিধাননগর পুলিশ সূত্রের খবর, কী ভাবে ওই তিন জন কোয়রান্টিন কেন্দ্র থেকে বাড়ি চলে এলেন, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
প্রাথমিক ভাবে তদন্তকারীদের অনুমান, মঙ্গলবার গভীর রাত থেকে বুধবার ভোরের মধ্যে এক মহিলা তাঁর দুই সন্তানকে নিয়ে কোনও ভাবে নজর এড়িয়ে কোয়রান্টিন কেন্দ্র থেকে বাড়ি চলে আসেন। খবর জানাজানি হতে চিকিৎসকদের কাছ থেকে ওই মহিলার সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে পুলিশ। তার পরে এ দিন নারকেলডাঙা থানা এলাকায় যান বিধাননগর ও কলকাতা পুলিশের কর্মীরা। ওই মহিলা ও তাঁর দুই সন্তানের পাশাপাশি বাড়ির আরও তিন জনকে কোয়রান্টিন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়।
সূত্রের খবর, করোনা পজিটিভ এক ব্যক্তির সঙ্গে পরোক্ষ যোগসূত্র পাওয়া গিয়েছিল ওই মহিলা এবং তাঁর দুই সন্তানের। সেই কারণে তাঁদের তিন জনকে নিউ টাউনের একটি কোয়রান্টিন কেন্দ্রে পাঠানো হয়েছিল। যেহেতু ওই মহিলা সন্তানদের নিয়ে বাড়ি চলে এসেছিলেন এবং বাড়ির আরও তিন সদস্য তাঁদের সংস্পর্শে এসেছিলেন, তাই সেই তিন জনকেও কোয়রান্টিন কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
তবে এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে, মঙ্গলবার রাতেই যদি ওই তিন জন চলে আসেন, তবে নিউ টাউন থেকে নারকেলডাঙা পর্যন্ত একাধিক জায়গায় তা পুলিশের চোখে পড়ল না কেন? সন্তানদের নিয়ে ওই মহিলা হেঁটে বাড়ি এসেছিলেন না কি কেউ তাঁকে সহযোগিতা করেছিল, তা তদন্ত-সাপেক্ষ বলেই পুলিশ সূত্রের খবর। বিধাননগর ও কলকাতা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, কী ভাবে এমন ঘটল তা জানতে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা হচ্ছে।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)