হোর্ডিং সরালেন কাউন্সিলর

শনিবার সকাল থেকেই তিনি তাঁর ওয়ার্ডের কালিন্দী, বসাকবাগান, গয়লাবাগান, জিসি ঘোষ রোড ও যশোর রোড থেকে সব ধরনের হোর্ডিং ও ব্যানার সরিয়ে দিয়েছেন। বাদ যায়নি রাজনৈতিক হোর্ডিং-ও। এমনকী, নিজের দলের হোর্ডিং-ও খুলে ফেলেছেন মৃগাঙ্কবাবু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ মে ২০১৭ ০১:৫০
Share:

সল্টলেক থেকে শুরু করে দমদম-সহ একাধিক পুর এলাকা ভরে গিয়েছে বেআইনি হোর্ডিংয়ে। পাশাপাশি, ফুটপাথ দখল করে অবাধে চলছে দোকান। বাসিন্দাদের অভিযোগ, ভোট-ব্যাঙ্ক অটুট রাখতে কোনও শাসক দলই এ সবের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করে না। বিধাননগর পুরসভার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা হোর্ডিংয়ের বিরুদ্ধে অভিযান চালালেও ফুটপাথের দোকান সরাতে ততটা সক্রিয় নয়। অন্য পুরসভাগুলির বিরুদ্ধেও অভিযোগ কমবেশি একই।

Advertisement

কিন্তু সেই কাজই করে দেখালেন দক্ষিণ দমদম পুরসভার ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য। শনিবার সকাল থেকেই তিনি তাঁর ওয়ার্ডের কালিন্দী, বসাকবাগান, গয়লাবাগান, জিসি ঘোষ রোড ও যশোর রোড থেকে সব ধরনের হোর্ডিং ও ব্যানার সরিয়ে দিয়েছেন। বাদ যায়নি রাজনৈতিক হোর্ডিং-ও। এমনকী, নিজের দলের হোর্ডিং-ও খুলে ফেলেছেন মৃগাঙ্কবাবু। পাশাপাশি, ওই এলাকায় ফুটপাথ দখল করে থাকা বহু দোকানও তুলে দিয়েছেন তিনি।

ফুটপাথ দখল হয়ে যাওয়ার অভিযোগ রয়েছে প্রায় সব পুর এলাকাতেই। শাসক দল তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা জানান, পুনর্বাসনের ব্যবস্থা না করে উচ্ছেদ করা তাঁদের দলীয় নীতি নয়। তা হলে দক্ষিণ দমদম পুরসভার একটি ওয়ার্ডে কী ভাবে সেই কাজ হল? কাউন্সিলর মৃগাঙ্কবাবু বলেন, ‘‘দলের একটি নীতি রয়েছে। ফুটপাথ দখলমুক্ত করা যাবে না, এমন কথা দল থেকে বলা হয়নি। বাসিন্দাদের দাবি মেনে এ কাজ করা হয়েছে।’’ দক্ষিণ দমদমে দু’ধরনের দখলদারি দেখা যায়। একটি হল, রাস্তার ধারে স্থায়ী দোকান যাঁদের রয়েছে, তাঁদের একাংশ দোকান বাড়িয়ে ফুটপাথের উপরে তুলে দিয়েছেন। আর একটি হল, ফুটপাথের উপরে অস্থায়ী দোকান। মৃগাঙ্কবাবু বলেন, ‘‘কোনও ভাবেই দোকান বাড়িয়ে ফুটপাথ দখল করতে দেওয়া হবে না। যাঁরা অস্থায়ী দোকান চালাচ্ছিলেন, তাঁদের ক্ষেত্রে অন্যত্র ব্যবস্থা করা যায় কি না, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করা হবে।’’

Advertisement

বাসিন্দাদের আরও অভিযোগ, দৃশ্যদূষণ দেখেও কোনও পদক্ষেপ করে না প্রশাসন। মৃগাঙ্কবাবু জানান, বাসিন্দাদের অভিযোগের সারবত্তা রয়েছে। সব হোর্ডিং খুলে ফেলা হয়েছে। ভবিষ্যতে গাছ, বাতিস্তম্ভ কিংবা রেলিং-এ হোর্ডিং লাগাতে দেওয়া হবে না।

একটি ওয়ার্ডে এই পদক্ষেপ করা হলেও দক্ষিণ দমদম পুরসভার বাকি এলাকাগুলির অবস্থা তথৈবচ। সে সব জায়গাতেও কি এমন পদক্ষেপ করা হবে? সদুত্তর মেলেনি। তবে এক পুরকর্তা জানান, চিন্তাভাবনা চলছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement